পরিবারের শোক। নিজস্ব চিত্র।
খয়ের-জর্দা-সুপুরি সহযোগে পানটা মুখে পুরেছিল বটে, তবে পান সাজা তেমন পছন্দ হয়নি। তার জেরেই দোকানির সঙ্গে বচসা যা এক সময়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। এই সময়ে ওই পান কিনতে আসা ওই যুবক দোকানের পাশে পড়ে থাকা একটি বাঁশ দিয়ে মোজাফফর খান নামে ওই পান বিক্রেতাকে পেটানোয় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। বুধবার বিকেলের ওই ঘটনায় গুরুতর জখম মোজাফফরের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকায় তাঁরা স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। শুক্রবার কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। জঙ্গিপুরের মহম্মদপুর এলাকার ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মুন্না খান নামে ওই যুবককে। মহম্মদপুর বাড়ির কাছেই রাজ্য সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকান রয়েছে মোজাফফরের। তার আয়েই সংসার চলত। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইসলাম শেখ বলেন, ‘‘মোজাফফরের দোকানের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। খানিক পরে সেখানে এসে পান চায় মুন্না। তার পর পান মুখে দিয়ে পছন্দ না হওয়ায় পয়সা না দিয়েই চলে যেতে চায় সে। বলে, ‘জর্দাই তো দিসনি’। বচসার শুরু সেখানেই। মোজাফফর পয়সা চাইলে সে দোকানে ভাঙচুর শুরু করে। এই সময়ে একটা বাঁশ কুড়িয়ে মোজাফফরের মাথায় মারে মুন্না।’’ মৃত্যুর খবর আসতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সন্ধ্যেয় জঙ্গিপুর– লালগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় লোকজন।