প্রতীকী ছবি।
নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড না-মেলায় জেলার কয়েক হাজার মানুষ এই লকডাউনের মধ্যে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত এপ্রিল মাস থেকেই রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া শুরু হয়েছে। এপ্রিলে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ প্রকল্পভুক্ত রেশন কার্ডধারীদের টাকা দিয়েই রেশনের মাল নিতে হয়েছিল। কিন্তু মে মাস থেকে সকল শ্রেণির কার্ডধারীদের বিনামূল্যে মাল দেওয়া হচ্ছে। কার্ড প্রতি চালের পরিমান বাড়়ানো হয়েছে। কিন্তু নতুন কার্ড না-মেলায় জেলার বেশ কয়েক হাজার মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে খাদ্য দফতর সূত্রের খবর। সোমবার সকালে এই রকমই কয়েক শো মানুষ নাকাশিপাড়়ার বিডিও অফিস চত্বরে জড়়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান।
দফতর সূত্রের খবর, এক সময় সকলেরই কাগজের রেশন কার্ড ছিল। পরে খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু হলে সেই কার্ড বাতিল হয়ে যায়। উপভোক্তারা আবেদন করেন ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য। পুরনো কাগজের রেশন কার্ডের মাধ্যমে চাল, গম, আটা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এত দিন অনেকেরই সে ব্যাপারে ভ্রূক্ষেপ ছিল না। টনক নড়়েছে লকডাউনে রুজিরোজগারে টান পড়়ায়। এখন অনেককেই রেশনের মালের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে হচ্ছে। যাঁদের কাগজের রেশন কার্ড তাঁরা রেশন পাচ্ছেন না।
এ দিন নাকাশিপাড়়ায় যাঁরা বিক্ষোভ দেখান তাঁদের দাবি, ডিজিটাল কার্ডের জন্য বার-বার আবেদন করেও কার্ড হাতে পাননি। কারও-কারও আবার আবেদনপত্র নথিভুক্তই হয়নি। তাঁরা খাবারের কুপনও পাননি। ফলে বিনামূল্যের চাল, আটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের সদস্য আব্দুল লতিফ যেমন বলেন, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েত এলাকার অন্তত ৩০০ পরিবারের কাছে ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই। গরিব মানুষ রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’
জেলা খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ডিজিটাল কার্ডের জন্য কিছু কিছু লোকের আবেদনপত্র নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু গড়ে একশো জনের বেশি হবে না। সরকারের তরফে তাঁদের বিশেষ ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)