মোটরভ্যান চালিয়ে ফেরার সময়ে কালভার্টের পাশে খালে পড়ে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় গ্রামবাসীরা বুধবার সকালে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করেন, বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ তাঁদের। পুলিশের পাল্টা দাবি, যুবকের মৃতদেহ নিয়ে ফেরার সময়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি আটকালে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দেরই কেউ কেউ বিক্ষোভকারীদের পুলিশের গাড়ি আটকাতে উসকানি দেয় বলে অভিযোগ পুলিশের। পুলিশকে ধাক্কা মারা হয় বলেও দাবি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বকুলতলা এলাকার ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মণ্ডল (৩০) নামের এক যুবক কাষ্ঠডাঙার বাজার থেকে মোটরভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মোল্লাবেলিয়ার মাথপুর এলাকায় রাস্তার কালভার্টের কাছাকাছি তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খালের জলের মধ্যে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই যুবক। এর পর বুধবার সকালবেলা এলাকার মানুষ খালের জলের মধ্যে যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়।
ওই ঘটনার পর এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাস্তা কেটে পথ অবরোধ শুরু করেন। রাস্তাটির সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও দাবি তোলেন তাঁরা। পরে সকাল ১০টা নাগাদ পথ অবরোধ ওঠে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, হরিণঘাটার মোল্লাবেলিয়া পঞ্চায়েতের বকুলতলা থেকে কাষ্ঠডাঙা বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংস্কার হয় না। আগেও বিক্ষোভ দেখিয়ে পথ সংস্কারের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।
কেন দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা সংস্কার হচ্ছে না? হরিণঘাটা ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা। বছর তিনেক আগেই সংস্কার হয়েছে। ইতিমধ্যে আবার রাস্তাটি সংস্কারের অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে বিক্ষোভের পরে হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে আপাতত ওই কালভার্ট এলাকায় রাস্তার দু’দিকে সংস্কারের পাশাপাশি আলোর ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে।
হরিণঘাটার বিডিও মহাশ্বেতা বিশ্বাস বলেন, “রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে সংস্কারের অনুমোদন হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি পেলেই অর্থ পাওয়া যাবে এবং রাস্তার কাজও শুরু হয়ে যাবে।’’