ছাত্রীর ছবি কেন ফেসবুকে, বিতর্ক

ফেসবুকে ছাত্রীর ছবি পোস্ট করেছিলেন স্কুলেরই শিক্ষক। সে খবর চাউর হতেই বাগআছড়া হাইস্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও পড়ুয়াদের একাংশ। শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে মারমুখী অভিভাবকদের হাত থেকে শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০০:২০
Share:

ফেসবুকে ছাত্রীর ছবি পোস্ট করেছিলেন স্কুলেরই শিক্ষক। সে খবর চাউর হতেই বাগআছড়া হাইস্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও পড়ুয়াদের একাংশ। শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে মারমুখী অভিভাবকদের হাত থেকে শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। বিক্ষোভের জেরে এ দিন স্কুলে পঠনপাঠন হয়নি।

Advertisement

বৃস্পতিবার এই বিষয়টির পাশাপাশি শিক্ষিকাদের চুড়িদার পড়ে স্কুলে আসা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন অভিভাবকেরা। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে আসেন শাসক দলের স্থানীয় নেতা ও স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যেরা। প্রধান শিক্ষক বিমান বর্মন বলেন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে কিছু অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী ক্ষোভ জানিয়েছেন।’’

বেশ কিছু দিন ধরে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নানা আচরণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। এর আগে তাঁরা পরিচালন সমিতির কাছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতির মধ্যে এক শিক্ষকের ছাত্রীর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় ক্ষোভ আরও বাড়ে। বৃহস্পতিবার স্কুল শুরুর আগে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুলের ভিতরে বিক্ষোভ শুরু করে। যোগ দেন আভিভাবকেরাও। ভিড় জমান কৌতূহলীরাও।

Advertisement

পরিচালন সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা নারায়ণ পাল বলেন, ‘‘ফেসবুকে ছবি দেওয়ার পাশাপাশি আভিভাবকদের আরও অভিযোগ হল শিক্ষিকারা কেন স্কুলে চুড়িদার পড়ে আসেন।’’ কিন্তু, সেটা তো শিক্ষিকাদের ব্যক্তিগত বিষয়, তাতে অভিভাবক বা পড়ুয়াদের আপত্তির কী আছে? নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘সেটা ঠিক। তা ছাড়া আমরা শিক্ষিকাদের চুড়িদার পড়ে আসতে নিষেধ করতে পারি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement