দেহ তোলা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। — নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার জন্য ছ’লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি মেলেনি। পরিবারের দাবি, সেই হতাশাতেই আত্মঘাতী হয়েছেন আব্দুর রহমান শেখ। আদালতের নির্দেশে তাঁর মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টা পরে কবর খুঁড়ে তোলা হল দেহ।
শুক্রবার সকালে সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় লালগোলার আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের দেহ। তার পর ভিডিওগ্রাফি করে দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের পরিবার প্রতারণার অভিযোগ এনেছে। তাঁদের দাবি, আব্দুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা ফেরত তো দেওয়াই হয়নি, এমনকি চাকরির জন্য তিনি যে সব নথি্পত্র দিয়েছিলেন সেগুলিও ফেরত দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার বাড়ির কাছে চাষের জমিতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন লালাগোলার যুবক। পাশে পাওয়া যায় সুইসাইড নোট।
বৃহস্পতিবার আব্দুরের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রেহেসান শেখ নামে এক ব্যক্তিকে লালবাগ আদালতে তোলা হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত না হওয়ায় কবর থেকে দেহ তোলার নির্দেশ দেন লালবাগের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তথা লালগোলার বিডিও সুব্রত ঘোষের উপস্থিতিতে মৃতদেহ তোলা হয়।
অন্য দিকে, আদালত ধৃত রেহেসানের দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। মৃতের বাবার অভিযোগ, ‘‘একটি নোটে ছেলে জানিয়েছে, প্রাথমিকে চাকরির জন্য প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়ে প্রাতারিত হয়েছে সে। বার বার টাকা ফেরত চাইলেও তা দেয়নি প্রতারকরা।’’ ঘটনার তদন্তে লালগোলা থানার পুলিশ।