ছবি সংগৃহীত।
চলতি শিক্ষাবর্ষেই শুরু হতে চলেছে কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মতো ৩ নভেম্বর থেকে অনলাইনে শুরু হতে চলেছে ভর্তি প্রক্রিয়াও। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ সংলগ্ন মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তবে ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হতে আরও বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তার আগেই তাই কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে অস্থায়ী ভাবে ক্লাস শুরু হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে ডায়মন্ডহারবারে। তারপর কৃষ্ণনগরে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর তিনি কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেন। সেই মতো ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু সেই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই উইমেন্স কলেজের ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে নেয় রাজ্যের শিক্ষা দফতর। সেই মতো ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। আর ১০ সেপ্টেম্বর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত রেজিস্টার দেবকুমার পাঁজাকে এই কলেজের রেজিস্টার হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তারপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার ক্ষেত্রে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা শুরু হয়। ঠিক হয়, সকালে উইমেন্স কলেজে বিশ্বাবিদ্যালয়ের ক্লাস হবে। প্রাথমিক ভাবে বাংলা, ইতিহাস, ইংরেজি এবং এডুকেশন বিভাগ নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হবে। প্রতিটি বিভাগে ৪৫টি করে আসন থাকছে। তবে চাহিদা বেশি থাকলে পাঁচটি করে আসন বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য কোনও খরচ হবে না। শুধুমাত্র ভর্তির জন্য টাকা দিতে হবে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী পদ তৈরি হয়নি। প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি বিভাগের জন্য দু’জন করে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ছ’মাস পরে দ্বিতীয় সিমেস্টার শুরু হওয়ার আগে আরও অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আর ‘ওয়েবেল’ থেকে অস্থায়ী পদে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দেবকুমার পাঁজা বলেন, “অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। সেই মতো প্রস্তুতিও চলছে।” তিনি জানান, কন্যাশ্রীরা যাতে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেন, তার জন্য তাঁরা সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই শিক্ষাবর্ষেই ক্লাস শুরু হবে।