প্রতীকী ছবি।
গোটা একটা দিন পার হয়ে গেলেও করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে শনাক্ত করতে পারলেন না শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে লালারস পরীক্ষা দূরস্থান, নজরদারির প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন দোরগোড়ায়, এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশের উদাসীনতাই প্রকট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
তবে হরিণঘাটায় যে যুবকের দেহে ‘ইউকে স্ট্রেন’ পাওয়া গিয়েছে, তাঁর সংস্পর্শে আসা ১৫-২০ জনের লালার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও কেউ এঁদের সংস্পর্শে এসেছেন কি না সে বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই ওই যুবককে কলকতায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভোর সাড়ে তিনটের মধ্যেই তাঁকে ভর্তি করা হয়। নদিয়ায় এ রকম তিন জনকে পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেকেই এখন বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি।
শক্তিনগর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শনিবার লালারস পরীক্ষা করান। মঙ্গলবার সকালে তার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর মধ্যে রবিরার তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রায় চার ঘন্টা ডিউটি করেন। সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও রিপোর্ট আসার আগে কেন তাঁকে ডিউটি করতে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি হাসপাতাল সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্য। কেনই বা ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা রোগী ও অন্য লোকজনকে শনাক্ত করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা গেল না, তারও সদুত্তর মেলেনি। হরিণঘাটায় যে যুবকের দেহে করোনার ‘ইউকে স্ট্রেন’ পাওয়া গিয়েছে তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ গোপালনগরে পাল্লা এলাকায়। তাঁকে স্বেচ্ছা-নিভৃতবাসে থাকতে বলা হলেও তা অগ্রাহ্য করে হরিণঘাটার কাষ্ঠডাঙা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে চলে এসেছিলেন তিনি। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ওই বাড়ির লোকজন ছাড়া অন্য কারও সংস্পর্শে আসেননি তিনি। বাড়ির বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, পরীক্ষা না করানো পর্যন্ত তাঁরা যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এ দিন তাঁদের পরীক্ষা করাতে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তাঁরা না আসায় বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরীক্ষা করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। তবে রাত পর্যন্ত তা করানো হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। ওই বাসিন্দাদের এলাকায় বেরোতে নিষেধ করা হলেও তাঁরা আদৌ তা মানছেন কি না, সে বিষয়ে কোনও নজরদারির কথাও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর জানাতে পারেনি।