ফাইল চিত্র।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ধাক্কা খেল কেন্দ্র সরকার। বিতর্কিত তিনটি নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গেল বহরমপুরের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে অন্য দলের সাংসদদের এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে।
বৈঠক চলাকালীন এক ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বহরমপুরে কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “দেশের কৃষকদের নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ করার জন্যই আমরা কৃষি বিল থেকে আইন হওয়া পর্যন্ত বিরোধিতা করেছি। আমরা বলেছিলাম আপনারা গায়ের জোরে এই বিল আনতে পারেন না। গোঁয়ারের সরকার, ঔদ্ধত্যের সরকার, অহংকারের সরকার সেদিন কিছু শোনেনি। অথচ সুপ্রিম কোর্ট আজ সেই কথাটাই বলেছে।”
কৃষি বিল পাশ হওয়ার সময়ই রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে আইন তৈরি করার কথা বলেছিলেন দাবি করে করে অধীর বলেন, “সে দিন সে কথা শোনা হয়নি। উল্টে রাজ্যসভা থেকে আমাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল।”
আর কৃষকরা নয়া আইনে খুশি বলে কেন্দ্র সরকার দাবি করেছিল জানিয়ে অধীরের জিজ্ঞাসা “কৃষকরা খুশি হলে আন্দোলন কেন করছে?”
কৃষকদের সুবিধা করে দেওয়ার নাম করে কৃষি আইন তৈরি করলেও এই আইন লাগু হলে দেশের ৮২ কোটি মানুষদের খাদ্য সুরক্ষা নষ্ট হয়ে যাবে বলে দাবি করেন পিএসি’র চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী যে মানুষ রেশনে দু’টাকা তিন টাকা কেজি চাল পাবে না। সব তছনছ হয়ে যাবে বলেই সংসদে এর বিরোধিতা করেছিলাম।”
তিনি বলেন, “কিছু কর্পোরেটকে খুশি করতে গিয়ে ভারতের কৃষিকে ধবংস করতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এখন দেখা যাক কমিটি কৃষকদের মতামতকে গুরুত্ব দেয় কি না? তাদের মতামতকে গুরুত্ব না দিলে কৃষকদের আন্দোলন থামবে না।” সেখানেই তিনি মোদীর সমালোচনা করে বলেন, “ভারতবর্ষে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে সামনে রেখে গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া হচ্ছে। ”
পিএসির বৈঠকে উপস্থিত আছেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী সাংসদরা। বিজেপি সাংসদ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদম্বিকা পাল বলেন, “বিরোধীরা রাজনীতির স্বার্থে কৃষি আইনের বিরোধিতা করেছে। কৃষকদের পক্ষেই আইন হয়েছে।’’