অধির রঞ্জন চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘির ভোটযুদ্ধকে ‘ইমানদার আর বাটপাড়ের লড়াই’ বলে উল্লেখ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।সাগরদিঘির কাবিলপুরে উপনির্বাচনের প্রচারে এসে বুধবার অধীর বলেন, “সাগরদিঘির এই নির্বাচনে সরকার বদলাবে না। লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না। চোর বাটপাররা চলে যাবে না। কিন্তু তৃণমূলের দম্ভ ভেঙে দেওয়া যাবে।’’ তৃণমূল যদিও দাবি করেছে, কে ইমানদার তা সাগরদিঘির মানুষই ভোটের দিন দেখিয়ে দেবেন।
অধীর এই নিয়ে তিনটি জনসভা করলেন সাগরদিঘিতে। কিন্তু কাবিলপুরের এই সভায় বহু সিপিএম সমর্থকরাও এ দিন যোগ দেন। অধীর এ দিন বলেন, “১৯ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার আনিস খানের মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হবে। ওই দিনই সাগরদিঘিতে আসছেন তৃণমূলের নেতা দিদির ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন আনিসের মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেল। আজও বিচার পায়নি আনিসের পরিবার। আজও কে খুনি তা বের করা হয়নি। ভোট চাইবার আগে তাই বলুন কেন আনিস খানের খুনের বিচার হল না?”
অধীরের অভিযোগ, “কংগ্রেস বামেদের হাত ধরেছে। কারণ আমরা মনে করি বাম ও কংগ্রেস উভয়েই ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক। তাই কংগ্রেস তার হাত ধরেছে। দেশে মোদী ক্ষমতায় এসেছে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে। তিনি চাইছেন কংগ্রেস-মুক্ত ভারত করতে। বাকি ৬৩ শতাংশ মানুষ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তাঁরা এক হলে মোদীকে হারানো সম্ভব। কিন্তু মোদীর হাতের পুতুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা যাতে এক হতে না পারে তার জন্য দিদি আর মোদী এক হয়েছে। এ বারে সাগরদিঘিতে তৃণমূলের প্রার্থী আগে বিজেপিকে ভোট দিতে বলেছে। আর বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে ভোট চেয়েছে। এই দুই গদ্দারকে বাদ দিয়ে তাই কংগ্রেসের ইমানদার প্রার্থীকে বেছে নিন মানুষ।’’ যদিও তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই অধীরের এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
অধীরের বক্তব্য প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘এ সব কথার কী উত্তর দেব? কে ইমানদার সাগরদিঘির মানুষ ভোটের দিন তার জবাব দিয়ে দেবেন।’’