ফাইল চিত্র
সীমানা নিয়ে পড়শিদের আগ্রাসনে অস্বস্তির সীমা নেই। চিন-ভারত লাদাখ সীমান্ত ফুটছে, কাশ্মীর সীমান্তে পাক-হানা প্রায় নিত্য ঘটনায় দাঁড়িয়েছে। নেপাল মানচিত্র বদলে মুখ ভার করে রয়েছে এমনকি ছোট্ট প্রতিবেশি ভুটানও চিনের লাল ফৌজকে তাদের ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহার করতে দিয়ে পরোক্ষে সীমান্ত সমস্যায় সায় দিয়ে চলেছে।
এই অবস্থায় মুর্শিদাবাদের বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়তি আধা-সেনা মজুত করায় মানুষের প্রশ্ন জেগেছে তা হলে কি ঢাকার সঙ্গেও সখ্যে ভাটা পড়ল!
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সীমান্তে বিএসএফের বেশ কয়েকটি ক্যাম্প রয়েছে। পদ্মা নদী বরাবর টহলদারিও নতুন নয়। কিন্তু গত কয়েক দিনে সীমান্তের বেশ কয়েকটি কলেজ এবং ফ্লাড শেল্টারে নতুন করে কয়েক কোম্পানি আধাসেনা এসে আস্তানা গাড়ায় স্থানীদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে, এত জওয়ান কেন? প্রশ্নটা অমূলক নয় জেলা প্রশাসনের কাছেও। জেলা কর্তারা এ ব্যাপারে অন্ধকারে। এক শীর্য কর্তার কথায়, ‘‘এ তো আর নির্বাচনের সময় নয় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের জানিয়ে আসবে। ফলে সীমান্তে আধাসেনা মোতায়েনের কোনও কারণ আমাদের সরাসরি জানানো হয়নি। ফলে আমরাও আতান্তরে কেন এত আধাসেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।’’
ইতিমধ্যেই রানিনগর এবং জলঙ্গির বেশ কয়েকটি ফ্লাড শেল্টারে আধাসেনা রাখা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বন্ধ কলেজও। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর কথা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন বিএসএফের কর্তারা। আধাসেনাকে যে ‘বিশেষ সতর্ক’ বা স্পেশ্যাল অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে বিএসএফ সূত্রে তা-ও জানা গিয়েছে। তবে, বিএসএফের বহরমপুর রেঞ্জের ডিআইজি কুনাল মজুমদার বলছেন, ‘‘মূলত লকডাউনের ফলেই সীমান্তে কিছু জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পে জায়গা না হওয়ায় তাঁদের বন্ধ থাকা ওই কলেজে রাখা হয়েছে।’’