অপর্ণা বাগ যে মারা গিয়েছেন, তা-ই তিনি জানেন না বলে আদালতে দাবি করলেন অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষ। আরও দাবি, হামলায় তিন জনের আহত হওয়ার খবরও তাঁর অজানা।
সোমবার অপর্ণা হত্যা মামলায় সাক্ষ্য সম্পর্কে বক্তব্য পেশ করতে শ্যামলকে ডেকেছিলেন কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (তৃতীয়) আদালতের বিচারক মধুমিতা রায়। আগে এই মামলায় ফাঁসির সাজা হয়ে গেলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৩১৩ ধারা অনুযায়ী সাক্ষীদের বয়ান শুনিয়ে আসামিদের বক্তব্য ফের নথিবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত ১৫ মার্চ এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শ্যামল ঘোষ ও গৌতম ঘোষ নামে দুই আসামিকে দিয়ে এ দিন তা শেষ হয়।
২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সকালে কৃষ্ণগঞ্জ থানার ঘুঘড়াগাছিতে বিতর্কিত ২২ বিঘা জমির দখল নিয়ে গোলমালে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হয়েছিলেন অপর্ণা বাগ। গুরুতর জখম হন তিন জন। প্রধান অভিযুক্ত লঙ্কেশ্বর ঘোষ-সহ ১১ জন গ্রেফতার হয়। গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি সকলকেই ফাঁসির সাজা শোনান তদানীন্তন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (তৃতীয়) বিচারক পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তেরা হাইকোর্টে গিয়েছিল।
এই দ্বিতীয় দফায় লঙ্কেশ্বর ওরফে লঙ্কা দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। পুলিশ তাঁকে ফাঁসিয়েছে। বাকি ১০ জনও সেই পথই অনুসরণ করেন। এ দিন অভিযুক্তদের ৪১ জন সাক্ষীর বয়ান শুনিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। শ্যামলের দাবি, তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। তিনি কিছুই জানেন না।
গৌতম দাবি করেন, তিনি লঙ্কাকে চিনতেন না। তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। বিষয়টি তাঁরা অজানা। সরকার পক্ষের কৌঁসুলি অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “১১ এপ্রিল সওয়াল-জবাব শুরু হবে। তার পরে নতুন করে রায় দেবেন বিচারক।”