—প্রতীকী চিত্র।
বালিবোঝাই ডাম্পার নিয়ে ভোরবেলায় লরিতে ধাক্কা মারলেন চালক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই ডাম্পারে থাকা আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল ডাম্পারটি। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লাগোয়া মঙ্গলজোন এলাকায় সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। চালবোঝাই একটি লরি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল। লরির চালক জানান, পিছনের চাকার হাওয়া কমে যাওয়ায় তিনি গাড়িটিকে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই সময়ে আচমকা পিছন দিক থেকে ধেয়ে আসে বালির ডাম্পার। তার ধাক্কায় লরিটি উল্টে যায়।
দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পান ডাম্পারের চালক মিলন শেখ (৪০) এবং তাঁর সহকারী গোলাম সিদ্দিক (৩৩)। দু’জনকেই উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাদের অনুমান, ভোরবেলায় ডাম্পারের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। দু’জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লরি এবং ডাম্পারটি আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে ফরাক্কায় অন্য একটি দুর্ঘটনায় দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফরাক্কা থানার আমতলা এলাকায় বাড়ির সামনের রাস্তায় খেলছিল শিশুটি। ওই রাস্তা দিয়ে একটি ট্র্যাক্টর ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে শিশুটিকে পিষে দেয় ট্র্যাক্টরটি। ঘটনাস্থলেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সামনুর খাতুন।
শিশুর মৃত্যুর কারণে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তারা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে ঘাতক ট্র্যাক্টরটিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।