দেখা নেই সান্ত্বনার, থমকে পুরসভার কাজ

নাতির জন্মের শংসাপত্র চেয়ে পুরসভার দফতরে গিয়েছিলেন বছর সত্তরের বিমল নন্দী। গিয়ে দেখেন উপ-পুরপ্রধানের কার্যালয়ে কেউ নেই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানলেন, অনেক দিন ধরেই উপ-পুরপ্রধান আসছেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ০১:১১
Share:

নাতির জন্মের শংসাপত্র চেয়ে পুরসভার দফতরে গিয়েছিলেন বছর সত্তরের বিমল নন্দী। গিয়ে দেখেন উপ-পুরপ্রধানের কার্যালয়ে কেউ নেই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানলেন, অনেক দিন ধরেই উপ-পুরপ্রধান আসছেন না। শংসাপত্র পেতে হলে তাঁর বাড়ি যেতে হবে। বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে উপ-পুরপ্রধানের বাড়িতে যেতে ভরসা পেলেন না। তাই বৃষ্টি একটু ধরতে বেজার মুখে বাড়ি ফেরার রাস্তা ধরলেন।

Advertisement

শুধু বিমলবাবু নন, এমনই ভাবে ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। কারণ, প্রায় মাস খানেক ধরে নিজের কার্যালয়ে আসছেন না কান্দির উপ-পুরপ্রধান সান্ত্বনা রায়। কান্দি পুরসভা পুরপ্রধান অপসারিত হওয়ার পর যাবতীয় কাজকর্মের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর উপর। কিন্তু তিনি মাস খানেক ধরে কার্যালয়ে না আসায় সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দাদারা।

সামান্য দরকারে, জন্মের বা আয়ের শংসাপত্র নিতে ছুটতে হচ্ছে উপ-পুরপ্রধানের বাড়ি। আবার তিনি না আসায় থমকে রয়েছে পুরসভার অনেক কাজও।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা বিমল দাস, পলাশ বসুরা বলেন, “পুরসভায় সবাই আসছেন অথচ উপ-পুরপ্রধান দেখা নেই। কেন তিনি কার্যালয়ে আসছেন না বুঝতে পারছি না।’’

কেন তিনি আসছেন না? উত্তরে সান্ত্বনা জানান, সম্প্রতি পুরকর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে তাঁকে। তাতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁর দাবি, ‘‘এর মূলে রয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর গৌতম রায়। পুরসভায় আসার পরে সব কিছু বুঝে নিতে কিছুদিন সময় লাগে। কিন্তু সেই সময়টুকুও দিচ্ছে না তৃণমূল।’’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর গৌতম রায় বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ। আসলে মানুষের পাশে থেকে কাজ করার কোনও ইচ্ছেই নেই উপ-পুরপ্রধানের। তাই পুরসভায় না এসে পরিষেবা ব্যাহত করছেন। আমরা মহকুমাশাসক-সহ রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরকে এ বিষয়ে জানাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement