প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর মহিলার দেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামিদা খাতুন নামে গ্রামের এক বধূ রবিবার নিখোঁজ হন। সোমবার গ্রামের এক পুকুরে হামিদার দেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। খবর দেন ওই বধূর শ্বশুরবাড়িতে।
মঙ্গলবার ওই মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত হবে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ কিছুটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে বিয়ে হয় হামিদার। তাঁর একটি সন্তানও আছে। মৃতার শ্বশুরবাড়ির দাবি, হামিদা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। রবিবার বাড়ি থেকে আচমকাই চলে যান। পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। যদিও বধূর বাপের বাড়ির লোকেরা সেই দাবি অস্বীকার করেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাজিদ ইকবাল জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।