এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চোরাই মোটরবাইক রাখার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল বহরমপুর থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে তার ভাড়া নেওয়া গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি স্কুটি-সহ মোট ৯টি মোটরবাইক।
সোমবার রাতে বহরমপুরের বলরামপুর মধ্যপাড়ার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সন্তু সাহা। তার বাড়ি বহরমপুর শহরের মধুপুর এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতকে বহরমপুরে মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই গুদাম ভাড়া নেওয়া বা মোটরবাইকগুলির কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেনি সন্তু। এর পরে বাইক চুরি এবং চোরাই বাইক নিজের ভাড়া করা গুদামে রাখার অভিযোগ বাইকগুলি যেমন উদ্ধার করা হয়েছে, তেমনই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে বলরামপুর মধ্যপাড়ায় হানা দেয় বহরমপুর থানার পুলিশ। তার পরে সেই গুদামে তাঁরা স্কুটি সহ ৯টি পুরনো বাইক দেখতে পান। কোনও বাইকের নথি পুলিশকে দেখাতে পারেনি গুদামের মালিক। ঘটনায় বহরমপুর থানার টাউন সাব ইনসপেক্টর (টাউনবাবু) ইন্দ্রনীল পালের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তু সাহা এবং গুদামের মালিক তন্ময় মণ্ডলের বিরুদ্ধে চোরাই মোটরবাইক রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে সন্তুকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও তন্ময় পলাতক।
ধৃত সন্তু পুলিশকে জানিয়েছে, সে বন্ধকি কারবার করে। মোটরবাইক বন্ধ রেখে মোটরবাইক মালিকদের টাকা দেয়। সে জন্য সে বলরমাপুরের ওই গুদাম ভাড়া নিয়েছিল তন্ময় মণ্ডলের কাছে। তবে পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বন্ধকি কারবার করা বা গুদাম ভাড়া নেওয়ার কোনও নথি সন্তু পুলিশকে দেখাতে পারেনি। সে কারণে চোরাই বাইক রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। মোটরবাইক এবং স্কুটির নম্বর ধরে সে সব বাইক বা স্কুটির মালিকদের নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হবে। তাঁদের মোটরবাইক বা স্কুটি কেন সন্তুর হেফাজতে রয়েছে তা মালিকদের কাছে থেকে জানতে চাওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।