প্রতীকী চিত্র।
অসুস্থ থাকায় সাত দিন ছুটিতে ছিলেন। এমনকি করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারস সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসার আগেই শুক্রবার রাতে কাজে যোগ দিতে আসেন লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের এক নার্স। কাজে যোগ দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে রিপোর্ট আসে তাঁর করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। আর সেই রাতেই তাঁকে বহরমপুরে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাজে যোগ দেওয়ার পরে হাসপাতালের অন্য এক নার্স আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁর লালারস সংগ্রহ করার পাশাপাশি ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত নার্সের বাড়ি বহরমপুরে। মহকুমা হাসপাতাল স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নবগ্রামের বাগিরাপাড়ার মুম্বই ফেরত এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে বহরমপুরে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই দু’জনকে নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ২১৬ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে চার জনের। ৩৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে এক নার্স-সহ মোট দু’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের ভর্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
লালারস দেওয়ার পরে রিপোর্ট আসার আগে তিনি হাসপাতালে যোগ দিলেন কী করে? এদিন লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়া বলেন, ‘‘আমরা মোট ত্রিশ জনের লালারস নিয়েছিলাম। তার মধ্যে বেশির ভাগেরই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাতেই মনে করা হয়েছিল, ওই নার্সেরও সংক্রমণ হয়নি। ভুল বোঝাবুঝি থেকেই গোলমাল।’’
এর আগে জঙ্গিপুরের মহকুমা হাসপাতালের এক নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি সেখানে কাজে যোগ দেন। এবারে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের এক নার্স আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই নার্স বহরমপুরের বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাতয়াত করতেন। সূত্রের খবর, তাঁর গলা ব্যথা ও ডায়ারিয়ার কারণে গত সাত দিন ধরে ছুটিতে ছিলেন। ছুটিতে থাকাকালীন গত ২৪ তারিখ লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে এসে লালারস দেন। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগে তিনি শুক্রবার রাতে কাজে যোগ দেন। তার মিনিট দশেকের মধ্যেই নার্সের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।