প্রতীকী ছবি
দিন ছয়েক আগে রমজান মাস শুরু হয়েছে। অন্য বছরের মতো এবছরও দৌলতাবাদের ছুটিপুরের যুবক সাবির শেখ নিষ্ঠাভরে রোজা করছিলেন। কিন্তু বুধবার আর তিনি রোজা রাখতে পারেননি। রক্তাল্পতা নিয়ে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা ইসলামপুরের বছর কুড়ির এক কিশোরীকে তাঁকে রক্ত দিতে হল। সে জন্য তিনি বুধবার রোজা ভেঙে ফেলেন। লকডাউনের সময়েও তিনি প্রায় ৩০ কিলোমিটার মোটরবাইক উজিয়ে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন।
সাবির জানান, ১৬ বছর বয়স থেকে রোজা করি। অসুস্থতা ছাড়া অন্য কোনও কারণে কোনও দিন রোজা ভাঙিনি। রক্তদানের জন্য জেলায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। আমিও ওই গ্রুপের সদস্য। বুধবার সকালে গ্রুপেই জানানো হয় একজনের এ পজিটিভ রক্ত লাগবে। কাউকে না পাওয়ায় আমি রক্ত দিতে রাজি হই।
বুধবার দুপুরে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে ইসলামপুরের হড়হড়িয়ার পিঙ্কি জমাদার নামে এক রোগীকে এক ইউনিট রক্ত দিয়েছি। রক্তদান করলে রোজা করা যায় না। তাই আমি রোজা ভেঙেছি। তাঁর দাবি, ‘‘আমার কাছে ওই বোনের জীবন আগে। মানবধর্ম আগে।’’