বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে কাজ খুঁজতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন নবদ্বীপের যুবক। তিন বন্ধুর সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন হাওড়া থেকে। গন্তব্য ছিল চেন্নাই। সেই গন্তব্যে তো পৌঁছনো হলই না! সেই যুবকের দেহও ফিরল পর ওড়িশার বাহানাগার ট্রেন দুর্ঘটনার এক মাসের মাথায়, রবিবার।
গত ২ জুন ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে প়ড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় কয়েকশো যাত্রীর। সেই ঘটনাতেই প্রাণ যায় সৌরভ সিংহের (৩১)। ডিএনএ পরীক্ষার পর শেষমেষ পরিবারের হাতে যুবকের দেহ তুলে দিল রেল। সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের চেকও। রবিবার নবদ্বীপের বাড়িতে এসে পৌঁছয় সৌরভের কফিনবন্দি দেহ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তাঁর খোঁজ করতে প্রাথমিক ভাবে দেরি হয় পরিবারের। পরবর্তীতে একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও খোঁজ মেলেনি সৌরভের। পরে পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে শনিবার রাত ১০টা নাগাদ কটকের এমস হাসপাতাল থেকে সৌরভের পরিবারের সদস্যদের হাতে তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে কফিনবন্দি হয়ে রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ নবদ্বীপের মহাপ্রভু কলোনির তিন নম্বর ওয়ার্ডে পৈতৃক বাড়িতে এসে পৌঁছয় দেহ। রেলের পক্ষ থেকে মৃত যুবকের মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক। রবিবার সন্ধ্যায় নবদ্বীপ মহাশ্মশানে সম্পন্ন হয় সৌরভের শেষকৃত্য।
মৃত সৌরভের মা বাসনা সিংহ বলেন, ‘‘কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। এ ভাবে হারিয়ে ফেলব ভাবতে পারিনি। অনেক জটিলতা পেরিয়ে অন্তত ছেলের শেষকৃত্য করতে পারলাম।’’