Crocodile

আবার কুমিরের দেখা মিলল গঙ্গায়! আতঙ্ক ফারাক্কায়, নজরদারিতে তৎপর বন দফতর

গত কয়েক বছরে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় বার বার গঙ্গায় দেখা মিলছে কুমিরের। আর তাকে ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৪৫
Share:

মুর্শিদাবাদের গঙ্গায় বারবার কুমিরের দেখা মেলায় আতঙ্কিত গঙ্গার পাড়ের বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।

আবার অক্টোবরে ফরাক্কার গঙ্গায় দেখা মিলল কুমিরের। মঙ্গলবারের বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ফারাক্কার ফিডার ক্যানেল এলাকার ঘাটে কুমিরটিকে রোদ পোহাতে দেখা যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক পর্যন্ত ওই এলাকাতে মধ্যেই ওই কুমিরটি ছিল এমনই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। মুর্শিদাবাদের গঙ্গায় বারবার কুমিরের দেখা মেলায় আতঙ্কিত গঙ্গার পাড়ের বাসিন্দারা।

Advertisement

গত কয়েক বছরে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় বার বার গঙ্গায় দেখা মিলছে কুমিরের। আর তাকে ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। মঙ্গলবার ফের ফারাক্কার ফিডার ক্যানেলে এলাকায় রোদ পোহাতে গঙ্গা থেকে উঠে আসা কুমিরটিকে দেখতে অগণিত বাসিন্দার ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পর এবার মুর্শিদাবাদের গঙ্গার ঘাটে ফের কুমিরের দেখা মেলায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে গঙ্গার একাধিক স্নানের ঘাটে।

যে এলাকায় কুমিরের দেখা মিলেছে সেই এলাকাটি মৎস্য শিকারের জন্য অত্যন্ত অনুকূল হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে মৎস্যজীবীদের। গত বছর অক্টোবরে ফরাক্কা ব্যারেজের ১২ নং গেটের কাছে মৎস্যজীবীদের আটকে গিয়েছিল একটি কুমির। এর পর মুর্শিদাবাদের রানিনগরেও একটি পূর্ণবয়স্ক কুমিরের দেখা মিলেছিল।

Advertisement

বন দফতরের সূত্রে জনা গেছে , গঙ্গার ফিডার ক্যানেলে দেখতে পাওয়া প্রজাতিটি ‘জলাভূমির কুমির’ (মার্শ ক্রোকোডাইল)। হিন্দিতে ‘মগর’ নামে এরা পরিচিত। গঙ্গার ফিডার ক্যানেল থেকে বর্ধমান পর্যন্ত বেশ কিছু দিন ধরেই এই প্রজাতির বেশ কয়েকটি কুমির দেখা গিয়েছে। হুগলির গঙ্গায় কয়েক মাস আগে একটি মৃত মগরকে ভাসতে দেখা গিয়েছিল।

বন দফতরের আধিকারিকরা আগেই জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন আগেই এই কুমিরটির হদিশ মিলেছিল মুর্শিদাবাদে। তারপর থেকেই তার উপর নজরদারি চলছে। তাকে অক্ষত অবস্থায় তার নিরাপদ বাসস্থানে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নদিয়া-মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের মুখ্য বন আধিকারিক প্রদীপ বাউড়ি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখছি। নদীর জলে কুমির থাকা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। নদীর বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম সহায়ক এই কুমির। তাদের নিরাপদে রেখে সাধারণ মানুষ ও মৎস্যজীবীদের সুরক্ষিত রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement