প্রতীকী ছবি।
নিজের মায়ের সঙ্গে নিজের স্বামীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন স্ত্রী। প্রতিবাদ করায় স্বামী মারধর করলে স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে স্বামী সামাউল হককে ছোট নলদহ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিনটা সামাউলকে তেহট্ট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে তরুণীর মা পলাতক।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর ছ’য়েক আগে মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরের বাসিন্দা সামাউলের সঙ্গে বিয়ে হয় পলাশিপাড়ার ছোট নলদহ এলাকার ওই তরুণীর। তাঁদের চার ও তিন বছরের দু’টি সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে টাকার দাবিতে সামাউল বাড়িতে অশান্তি শুরু করেন বলে অভিযোগ। গত ২২ শে জুন এই রকম অশান্তির জেরেই মুর্শিদাবাদের শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই তরুণীকে তাড়িয়ে দেন সামাউল। তিনি ছোট নলদহের বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন।
তরুণীর অভিযোগ, শনিবার কাক ভোরে হঠাৎ কিছু শব্দে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি উঠে মায়ের ঘরে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে যান। তাঁর অভিযোগ, ঘরের মধ্যে তিনি নিজের মা ও স্বামীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। সঙ্গে-সঙ্গে চিৎকার করে প্রতিবাদও করেন। তাতে তাঁকে মারধর শুরু করেন তাঁর স্বামী সামাউল। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী সামাউল ও নিজের মায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সামাউলের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তরুণীর মায়ের খোঁজ চলছে।