Murder

তরুণীকে খুনের নালিশে স্বামী ধৃত

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার মোরগ্রামের বাসিন্দা, বছর পাঁচেক আগে সালারের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজাদের সঙ্গে বিয়ে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সালার শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪০
Share:

স্ত্রীকে খুন করে ধৃত স্বামী। প্রতীকী চিত্র।

শ্বশুরবাড়িতে এক তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে সালার থানার ঘোষপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম মোসলিমা বিবি (২০)। ওই ঘটনায় পুলিশ মৃতার স্বামী আজাদ শেখ ও দেওর বুলেট শেখকে গ্রেফতার করেছে। তবে অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা খুন করেননি, তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার মোরগ্রামের বাসিন্দা, বছর পাঁচেক আগে সালারের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজাদের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের দু’ছেলে-মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে ওই তরুণীকে মারধর করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পণের টাকা দিতে না পারার কারণে সাম্প্রতিক কালে অত্যাচারের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল বলেও দাবি। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই তরুণীর উপরে জোর করে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য অত্যাচার শুরু হয়। কিন্তু টাকা দিতে না পারার কারণে ওই রাতে স্বামী আজাদ ও তিন দেওর ও শাশুরি মিলে ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাড়িতে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

মৃতার স্বামী, শাশুরি ও তিন দেওরের বিরুদ্ধে সালার থানার খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মা বেগম সাহেবা। মা বেগম সাহেবা বলেন, “আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। সেখানে বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার চলত। কিন্তু এ ভাবে খুন করবে সেটা ভাবতেও পারিনি। আমি চাই অভিযুক্তদের শাস্তি হোক।”

Advertisement

দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।ধৃত স্বামী ও দেওরকে কান্দি আদালতে তোলে পুলিশ। সেখানে স্বামী আজাদ শেখকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে কান্দির অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক ভাস্কর মজুমদারের এজলাসে তোলা হলে আজাদের জামিনের আর্জি খারিজ করে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে অভিযুক্ত দেওর বুলেটের জামিনের আর্জি খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে স্বামী আজাদ শেখ বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম না। আমাদের পরিবারের কেউ মোসলেমাকে খুন করেনি। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement