Shantipur

আরজি করের ‘হুমকি’! শান্তিপুর হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে থানায় তরুণী চিকিৎসক

অভিযোগ, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দীর্ঘ দিন ওই মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থা করছেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার। শুধু থানায় নয়, গোটা ঘটনাটি নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও জানান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৯
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা এখনও টাটকা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবাদ থেমে থাকেনি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে। আন্দোলনের তেজ কিছুটা কমলেও এখনও নেভেনি। সেই আবহে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে উঠল হেনস্থা এবং হুমকির অভিযোগ। ওই হাসপাতালেরই এক মহিলা চিকিৎসক থানায় সুপারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপার তারককুমার বর্মণ। তাঁর দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Advertisement

অভিযোগ, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দীর্ঘ দিন ওই মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থা করছেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার। ওই মহিলা চিকিৎসকের দাবি, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি শান্তিপুর হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। তার পর থেকেই কাজের জায়গায় তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। রাতে হাসপাতালে নিরাপদ বোধ করছেন না তিনি। সে কথা জানানো হলেও তাঁর কথায় ভ্রুক্ষেপ করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, বিভিন্ন রকম অসহযোগিতা নিয়ে একাধিক বার তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। উল্টে গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালে সুপার তাঁকে আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের প্রসঙ্গ টেনে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

অভিযোগকারিণীর কথায়, ‘‘হাসপাতালের অন্য কারও বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। এই হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকেরা যথেষ্ট সহৃদয়। এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই। তবে হাসপাতালের সুপার আমাকে পদে পদে হেনস্থা করছেন। যে ভাষায় উনি কথা বলছেন সেটা আমার কাছে একটা ভয়ানক অভিজ্ঞতা।’’ মহিলা চিকিৎসকের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানা। শুধু থানায় নয়, গোটা ঘটনাটি জানিয়ে নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী চিকিৎসক।

Advertisement

যদিও পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল সুপার। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘ওঁর (অভিযোগকারিণী) অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এখানে রোস্টার কমিটি আছে। তাঁরাই রোস্টার করেন। আমার পরামর্শ নেওয়া হয়। এটুকুই। সবাইকে যে ভাবে ডিউটি দেওয়া হয়, সে ভাবেই ওঁকে ডিউটি দেওয়া হয়।’’ ৩১ ডিসেম্বরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তারক বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ওঁর দেখাই হয়নি। তাই হুমকি দেওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। শান্তিপুর হাসপাতালে রোগীর চাপ ভালই আছে। উনি বোধহয় সেই ওয়ার্ক লোডটা নিতে পারছেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement