Asansol

রানিগঞ্জের ১৩০ ফুট কয়লা খনিতে পড়ে গেলেন যুবক! উদ্ধারকারীদের চেষ্টা বিফলে, মিলল মৃতদেহ

শুক্রবার ভোরে রানিগঞ্জের ওই পরিত্যক্ত খনিতে পড়ে গিয়েছিলেন ভীষ্ম রায় নামে এক যুবক। দিনভর চেষ্টা করেও ভীষ্মকে উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। বিকেলের পর স্থানীয় বৈজয়ন্তীপুরের বাসিন্দা শেখ সাহাজাদ খনিতে নেমে উদ্ধার করে তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১৩
Share:
A dead youth was recovered from a 130 feet deep well in Raniganj

(বাঁ দিকে) পরিত্যক্ত কয়লা খনি এবং মৃত যুবক ভীষ্ম রায় (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আসানসোলের রানিগঞ্জের একটি পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে শুক্রবার ভোরে পড়ে গিয়েছিলেন এক যুবক। দিনভর তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলে। দমকল এবং কোলিয়ারির উদ্ধারকারী দল চেষ্টা করেও বিফল হয়। সন্ধ্যায় এক স্থানীয় যুবকের চেষ্টায় উদ্ধার হয় ওই যুবকের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের জামুরিয়া থানার অন্তর্গত কুনুস্তোড়িয়া এরিয়ার নর্থ শিয়ারশোল খোলামুখ খনি সংলগ্ন এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে রানিগঞ্জের ওই পরিত্যক্ত খনিতে পড়ে গিয়েছিলেন ভীষ্ম রায় নামে এক যুবক। তিনি রানিগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারির যাদব পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর পড়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোলিয়ারির উদ্ধারকারী দল এবং দমকল বাহিনী। সঙ্গে ছিল জামুরিয়া থানার পুলিশ। দিনভর চেষ্টা করেও ভীষ্মকে উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। বিকেলের পর স্থানীয় বৈজয়ন্তীপুরের বাসিন্দা শেখ সাহাজাদ খাদের মধ্যে নামেন। তার পর কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ভীষ্মকে উদ্ধার করে বাইরে বার করে নিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। দীর্ঘ ক্ষণ খনির মধ্যে পড়ে থাকায় সেখানেই মৃত্যু হয় ভীষ্মের।

খনিতে বিষাক্ত গ্যাস থাকতে পারে আশঙ্কা করেছিলেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। জানা গিয়েছে, ওই কয়লা খনিটি প্রায় ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীর। কেন ওই পরিত্যক্ত খনির মুখ বন্ধ ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রানিগঞ্জ পুরসভার ৩৭ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা রানিগঞ্জের শহর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রূপেশ যাদবের দাবি, এই খাদগুলি কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ যদি বন্ধ করে দিতেন তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।

Advertisement

কোলিয়ারির উদ্ধারকারী দল, দমকল বাহিনী সারা দিন চেষ্টা করেও ভীষ্মকে উদ্ধার করতে পারেনি। যদিও সেই কাজ করে একাই করে দেখান সাহাজাদ। এমনিতে তিনি বেকার। তবে এমন ধরনের উদ্ধারকাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। খাদের ভেতরে সাধারণত বিষাক্ত গ্যাস থাকে। কিন্তু সাহাজাদ তাঁর নিজের মতো করে পরীক্ষা করে দেখে নেন, ওই পরিত্যক্ত খনিতে কোনও বিষাক্ত গ্যাস ছিল না। তার পরই দ্রুত তিনি নেমে পড়েন ওই খাদের মধ্যে। কিছু ক্ষণের চেষ্টায় যুবকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন সাহাজাদ। তবে মৃত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement