—প্রতীকী চিত্র।
জাল নথিপত্র দিয়ে জমির চরিত্র বদল, কৃষিজমিতে অবৈধ নির্মাণ, পঞ্চায়েতের অনুমতি ব্যতিরেকে পাঁচতলা আবাসন নির্মাণ-সহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় মার্গ দর্শকমণ্ডলীর সদস্য এবং সারস্বত গৌড়ীয় সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্তকুমার সাহা ওরফে জগদার্তিহা দাসকে। তিনি দীর্ঘদিন মায়াপুর ইসকনের ভূমি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ চিফ কো-অর্ডিনেটর পদে ছিলেন। পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়াপুর-বামুনপুকুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা বিশ্বাসের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে জগদার্তিহাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার নবদ্বীপের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা হলে তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবদ্বীপ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নবেন্দু মণ্ডল বলেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে মায়াপুর-বামুনপুকুর ১ পঞ্চায়েতের গৌরনগরে কৃষিজমিকে রূপান্তরিত করেছেন, পঞ্চায়তের অনুমোদন ছাড়া পাঁচতলা ভবন নির্মাণ ও বিদেশিদের বিক্রি করার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।” দুপুরে জগদার্তিহাকে নবদ্বীপ আদালতে নিয়ে আসা হলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাকর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কিসান মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকারও। আদালত চত্বরে মোতায়েন পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মধ্যবঙ্গ প্রান্ত সভাপতি শ্রুতিশেখর গোস্বামী দাবি করেন, “যে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হল সেটি ২০১২ সালে তৈরি হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।” মহাদেব সরকারের দাবি, “রাজ্যে ধর্মীয় আন্দোলনের মুখ জগদার্তিহা দাসকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।”
জগদার্তিহার আইনজীবী শুভ্রশুচি মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “অভিযোগকারী পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন যে আমার মক্কেল জাল নথির উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করেছেন। অথচ তিনি তার সপক্ষে কোনও তথ্য আদালতে দিতে পারেননি।” তবে মায়াপুর-বামুনপুকুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান নমিতা বিশ্বাস বলেন, “অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে যে ওই নির্মাণের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছিল না। আইন তার নিজের পথে চলবে।”