শুভেন্দুর সঙ্গে কান্দি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌতম রায়। ফাইল ছবি।
শুভেন্দু, রাজীবদের দিয়ে শুরু হয়েছিল। তার পর বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে শাসকদলের বহু নেতা-কর্মী নাম লিখিয়েছেন পদ্মশিবিরে। টিকিট না পেয়েও তৃণমূলের বেশ কিছু হতাশ ‘সৈনিক’ ঝাঁপ মেরেছেন পদ্মবনে। সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলাতেও। সেখানকার শাসকদলে ভাঙন কতটা তা জানা যেতে পারে বুধবার বিকেলেই।
কান্দি এবং জঙ্গিপুর মহকুমায় একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপি-তে যোগ দেবেন বলে দাবি বিজেপি সূত্রে। এই নেতাদের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ। কান্দি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌতম রায়, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্যা দ্রৌপদী ঘোষ, জঙ্গিপুরের বিশিষ্ট শিল্পপতি শাহজাহান বিশ্বাস, ফরাক্কার মহম্মদ মুস্তাফার মতো তৃণমূল নেতৃত্ব রয়েছেন এই তালিকায়। এঁরা সকলেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে আমরা মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলাম। বর্তমানে আমরা অভিভাবকহীন। তাই বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছি।’’
বিজেপি সুত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য দফতরে এঁরা যোগদান করবেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র হয়ে টিকিট পাওয়ারও স্বপ্ন দেখছেন কেউ কেউ। বিজেপি তাঁদের এই দাবি কতটা মানবেন তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন কেউ কেউ। তবে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরেই যোগদানের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন যোগদানকারীদের একাংশ।
বিভিন্ন দল ছেড়ে আসাদের নিতে বিজেপি-র উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। রাজ্যস্তরের অনেক বিজেপি নেতা এর আগে সরাসরি যোগ দেওয়ার আহ্বান করেছেন শাসক দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের। এ ব্যাপারেও তার অন্যথা হয়নি। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেছেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে। তত তৃণমূল দলের ভাঙন বাড়বে।’’ আগামী দিনে যাঁরা কাজ করতে চাইছেন, তাঁদের বিজেপি দলে আসতে বলেছেন গৌরী। যদিও এই নেতারা ছেড়ে গেলেও তা নিয়ে মাথা ঘামাতে উৎসাহী নয় তৃণমূল। মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের মুখপাত্র অপূর্ব সরকার এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘‘এঁরা সবাই বিজেপি দলে যাবেন এটা জানা কথা। কারণ তাঁরা 'শুভেন্দুর অনুগামী' হিসেবে পরিচিত। এঁরা গেলে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’