শেখ মহম্মদ অখিল। নিজস্ব চিত্র
পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র হয়েও নিজেকে এমডি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের শেখ মহম্মদ অখিলের বিরুদ্ধে। হুগলির চণ্ডীতলা থানায় এ নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে। সেখানেই ওই ছাত্রের বাড়ি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেএনএমের এথিক্স কমিটির সদস্য তথা আইনজীবী অনিরুদ্ধে ঘোষই পুলিশের অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি, “প্রথমত কোনও পিজিটি ছাত্র বাইরে চেম্বার করে রোগী দেখতে পারে না। তার থেকেও বড় অপরাধ, অখিল পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র হয়েও লিফলেট ও সাইনবোর্ডে এমডি ডিগ্রি লিখে প্রচার করে রোগী দেখছে। কমিউনিটি মেডিসিনের ছাত্র হয়েও সে জেনারেল মেডিসিনে এমডি বলে নিজের পরিচয় দিচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, “কল্যাণীতে চেম্বার করার পাশাপাশি অখিল নিজের বাড়িতেও একই ভাবে এমডি পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্ত শুরু হতেই অখিল তাঁর নামের পাশে ‘এমডি’ লেখা সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছেন। তবে অখিলের দাবি, “অভিযোগ ঠিক নয়। আমি কোথাও নিজের নামের পাশে ‘এমডি’ লিখি না। চেম্বারও করি না। আত্মীয়স্বজন অসুস্থ হলে তাঁদের চিকিৎসা করি।”
এর আগে অখিলের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে হাউস স্টাফশিপের জন্য অনুমোদন করিয়ে দেওয়া, মাঝরাতে লোকজন নিয়ে হস্টেলে ঢুকে এক মহিলা চিকিৎসককে মারধর, হুমকি, মেডিক্যাল হাসপাতালের সুপারকে নিগ্রহ-সহ নানা অভিযোগ ওঠে।