পুলিশি প্রহরায় বাড়ি ফিরলেন ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় ঘরছাড়া একটি পরিবার। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় ঘরছাড়া একটি পরিবারকে কড়া প্রহরায় ঘরে ফেরাল পুলিশ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে সোমবার ঘরে ফেরে নদিয়ার নবদ্বীপের ওই পরিবার। বিজেপির অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া হতে হয়েছিল ওই পরিবারটিকে। তৃণমূলের যদিও দাবি, এই অভিযোগ অসত্য। অন্য দিকে, বাড়িতে ফিরলেও ঘরের অবস্থা দেখে চোখে জল পরিবারের সদস্যদের। সেখানে আবারও আঙুল উঠেছে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নবদ্বীপের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পরিবারকে ঘরছাড়া হতে হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই পরিবারের সদস্যদের উপরে অত্যাচার করে। এর পর বাড়ি ছাড়েন ওই পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপিকে সমর্থন করায় তাঁদের বাড়িঘর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দখল করে নেয়। বারবার পুলিশে জানিয়েও সমাধান হয়নি। পরে মামলা হয় হাই কোর্টে।
সংশ্লিষ্ট মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, পুলিশ নিজেই বাড়ির মালিককে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে। সোমবার সেই মতো নবদ্বীপ থানার পুলিশ ওই বাড়ির মালিক শম্পা সূত্রধর এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে ঢুকে গিয়ে ভগ্নদশা থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। দেখেন, বাড়ির দরজা-জানলা সব ভাঙা। চুরি গিয়েছে বাড়ির সমস্ত আসবাব। এমনকি, বাড়ির জলের কলও উপড়ে ফেলা হয়েছে।
এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘নবদ্বীপের তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে বিজেপিকে সমর্থন করে বলে ওই পরিবারের উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর তো হয়েছেই। লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সব কিছু।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’’
অন্য দিকে, নবদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অসত্য অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’