শুভেন্দু জানান, সোমবার খেজুরির সভার পর মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় গিয়ে তাঁর সভায় যা যা বলবেন, তার জবাব তিনি একইদিনে দেবেন। —ফাইল চিত্র।
খেজুরিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পাল্টা সভার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার চন্দ্রকোনার সভা থেকে শুভেন্দুর ঘোষণা, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার খেজুরির ঠাকুরনগরে যা যা বলেছেন, তার জবাব ওই জায়গাতেই দেব।’’ সভার দিনও ঘোষণা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেছেন, ‘‘ঠিক পরের সোমবার।’’ এবং তাঁর চ্যালেঞ্জ, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় (সোমবার) যত মানুষ ছিলেন, আগামী সোমবার তার তিন গুণ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি সভা করবেন।
পাশাপাশিই শুভেন্দু জানান, সোমবার খেজুরির সভার পর মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় গিয়ে তাঁর সভায় যা যা বলবেন, তার জবাব তিনি একইদিনে দেবেন। মঙ্গলবারেই নদিয়ার হাঁসখালিতে সভা করবেন তিনি। সেই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কথার জবাব দেবেন।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা প্রশাসনিক সভা করেছেন, সেই খেজুরি বিধানসভা এলাকার কয়েক কিলোমিটার দূরে নন্দীগ্রাম। ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা ভোটযুদ্ধে যে কেন্দ্র ছিল ‘ভরকেন্দ্র’। যার এক দিকে প্রার্থী ছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা। অন্য দিকে তাঁরই প্রাক্তন রাজনৈতিক সতীর্থ শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত ভোটযুদ্ধে শুভেন্দু জয়ী হন। তবে ভোটের ফলসংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে এখনও হাই কোর্টে মামলা চলছে। সোমবার খেজুরির সভা থেকে সেই ভোট নিয়েও শুভেন্দুকে খোঁচা দেন মমতা। কখনও নন্দীগ্রামের বিধায়ককে কটাক্ষ করেন ‘গদ্দার’ বলে, কখনও প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে।
আর চন্দ্রকোনার সভা থেকে শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ওই সভা (মমতার) তো নন-ভোটারদের সভা! ওই সভা তো সাইকেল বিলির সভা। ওঁর চেয়ে তিন গুণ লোক নিয়ে ওখানেই সভা করব আগামী সোমবার। আজ (সোমবার) উনি যা যা বললেন, তার সমস্ত জবাব সেখানেই দিয়ে দেব।’’
শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মমতা খেজুরির সভায় বলেছেন, ‘‘সব জবাব মানুষ দেবে।’’ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগে ‘আঁচড়’ লাগার জন্য খেজুরি, নন্দীগ্রাম, তমলুকে একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জেলে পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। আর শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডা আমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে বলেছিলেন। হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। ওঁকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও করব।’’ শাসকদলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আপনাদের চেয়ে কঠিন জিনিস ছিল সিপিএম। তখনও একা লড়েছি। এখনও তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী’ করা বাকি।’’