CPM Rally

বহরমপুরে দলীয় মিছিলে লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাস পুলিশের, মৃত্যু কর্মী আনারুলের, দাবি বামেদের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে সিপিএমের ক্ষেতমজুর, শ্রমিকদের আইন অমান্য অভিযান ছিল বুধবার। অভিযোনের আগে একটি সভার আয়োজন করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:১৪
Share:

আনারুল ইসলাম। —নিজস্ব চিত্র।

বাম শ্রমিক ও ক্ষেত মজুর সংগঠনের মিছিলে আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া কাদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক সমর্থকের, বলে দাবি করল সিপিএম। ডোমকলের সারাংপুর অঞ্চলের শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলামকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। বহরমপুর আসার পথেই রাত্রি ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে সিপিএমের ক্ষেতমজুর, শ্রমিকদের আইন অমান্য অভিযান ছিল বুধবার। অভিযোনের আগে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সভা শেষে উপস্থিত কর্মীরা মিছিল করে আইন অমান্য কর্মসূচির উদ্দেশে এগিয়ে যায়। সকাল থেকেই কলেজ মোড় ত্রিস্তরীয় লোহার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। সেই ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের ছোড়া কাদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েক জন বাম কর্মী-সমর্থক। তাঁদেরই এক জন ছিলেন আনারুল ইসলাম।

মিছিলে অংশ নেওয়া সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ের প্রশ্নে যে কোনও আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট ভূমিকায় আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূলী পুলিশ। মানুষ গণপ্রতিরোধের মধ্যে দিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার রাস্তাতেই বুঝে নেবে।”

Advertisement

জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক তথা আহ্বায়ক জামির মোল্লা বলেন,“গণআন্দোলনের উপরে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আজ পুলিশের ছোড়া কাদানে গ্যাসে আমাদের এক সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন। আগামীতে এই আন্দোলন যদি গণবিপ্লবের পথ নেয়, সে ক্ষেত্রে তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement