—প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করতে পারে— এই নিয়ে বুধবার রাত থেকেই উদ্বেগে ছিল নাবালক। বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের আগে সেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পরে যখন ফল বেরোল, দেখা গেল, পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় পাশ করেছে মৃত কিশোর।
নদিয়ার চাপড়া থানার অন্তর্গত দোয়ের বাজার এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর মৃত সায়ন ঘোষের মার্কশিট হাতে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোট পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, সায়ন দোয়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত। বুধবার রাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে মাধ্যমিকের ফল নিয়ে কথা হয় তার। সেই সময় সায়ন তাঁদের জানায়, সে পরীক্ষায় ফেল করতে পারে। বাড়ির লোকেরা সায়নকে তা নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেন। তাকে ঘুমিয়ে পড়তে বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে সায়ন ঠিক সময়ে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকেরা ডাকাডাকি করেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় সন্দেহ হয় তাঁদের। পরে দরজা ভেঙে বাড়ির লোকেরা সায়নের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সায়নের দেহ উদ্ধার করে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নাবালককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সায়নের কাকা সুরজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘সায়ন ভাল ছাত্র ছিল। তবে কয়েক দিন ধরে রেজ়াল্ট নিয়ে খুব চিন্তা করছিল। গত রাতেও এই নিয়ে কথা হয়েছিল। তার পর সবাই ঘুমোতে চলে যাই। সকালে ও দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে দেখি এই অবস্থা!’’ ছাত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে হতবাক স্কুলের শিক্ষকেরাও।