Road Blockade

ভাঙন রোধের দাবিতে ৯ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ 

অবরোধের ফলে কল্যাণী-চাকদহ ভায়া মদনপুর রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অ্যাম্বুল্যান্সকে অবরোধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাকদহ শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০২
Share:

চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

গঙ্গা ভাঙন রোধের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন চাকদহের সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ। সোমবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা পরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর অবরোধ ওঠে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৮টা থেকে কল্যাণী ব্লকের ঈশ্বরীপুর বাজারে পথ অবরোধ করে বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশো মানুষ। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও এই অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। ওঁদের অধিকাংশের বাড়িতে এ দিন রান্না হয়নি। দুপুরে সকলে একসঙ্গে রাস্তার উপরে ত্রিপল পেতে খাওয়া দাওয়া করেছেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিল ‘গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি’।

অবরোধের ফলে কল্যাণী-চাকদহ ভায়া মদনপুর রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অ্যাম্বুল্যান্সকে অবরোধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই এলাকায় ভাঙনে প্রতি বছর কমবেশি ১৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। শত শত বিঘা চাষের জমিও ভাঙনের কবলে চলে যায়। তাঁদের কেউ ক্ষতিপূরণ পান না। তাঁদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন দেওয়ার পাশাপাশি কংক্রিটের পাকা বাঁধের দাবি তোলা হয়। বলা হয়, বালির বস্তা বা বাঁশের খাঁচা দিয়ে ভাঙন রোধ করলে হবে না।

Advertisement

সমস্যার কথা স্বীকার করে কল্যাণী পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও বন দফতরের কর্মাধ্যক্ষ তপন মণ্ডল বলেন, “ওঁদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে ওঁরা এ ভাবে অবরোধ না করে প্রশাসনকে জানাতে পারতেন। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ওঁদের দাবিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানানো যেত। আমরা অনেক আগে থেকে কেন্দ্রের কাছে ভাঙন রোধের দাবি তুলে আসছি।”

পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন থেকে সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরাটি, রায়ডাঙা,তারিণীপুর, হেমনগর, কালীপুরে ভাঙন অব্যাহত। গত বছর ১৬টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এলাকায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কল্যাণীর মহকুমা শাসক হীরক মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘ভাঙন রোধের বিষয়ে অবোরোধকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement