৭৪ বছরের আল্লারাখি বিবি। নিজস্ব ছবি।
ছ’বছর নিয়মিত ভাতা বিধবা ভাতা পেয়েছিলেন বৃদ্ধা। ২০১০ সালের পর হঠাৎই তা বন্ধ হয়ে যায়। ভাতা বন্ধের কারণ খোঁজ নিতে গিয়ে সেই বৃদ্ধা জানতে পারলেন, তিনি নাকি মৃত! এক দশক ধরে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চরকি কেটেছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৪ বছরের আল্লারাখি বিবি। কিন্তু সুরাহা হয়নি। পঞ্চায়েতের দাবি, তাদের কাছে এ রকম কোনও অভিযোগই আসেনি।
আল্লারাখা বাউ গ্ৰামের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিডিও সকলের কাছেই গিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন নিজের অসুবিধার কথা। তা সত্ত্বেও কেউ পাশে দাঁড়াননি। আল্লারাখির আক্ষেপ করে বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত কবেই মেরে দিয়েছে। আমি যে জীবিত, সেটা মরার আগে প্রমাণ করে দিয়ে যেতে চাই।’’ বৃদ্ধার ছেলে আকরাম শেখেরও দাবি, বিডিও, এসডিওর পর জেলাশাসকের দফতরেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। যখন যেখানে যা নথি চাওয়া হয়েছে, সব দিয়েছেন। তা-ও ১১ বছরে ওই ভুল সংশোধন হয়নি।
সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুদীপকুমার ভট্টাচার্য। বলেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। এই অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’’ বড়ঞার বিডিও মণীশ নন্দীও বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলে নিশ্চিত ভাবে খতিয়ে দেখা হবে। পুরনো কোনও অভিযোগ আছে কি না, খুঁজে দেখব।’’