ত্রিপলের আড়ালে রাখা সারি সারি চালের বস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
আঁটসাঁট করে প্যাকিং করা ত্রিপল খুলতে নজরে আসে থরে থরে সাজানো চালের বস্তা। প্রত্যেকটি বস্তার গায়ে আবার লাগানো খাদ্য দফতরের সরকারি ছাপ। দৃশ্যটি কোনও চালের দোকানের নয়। বরং সারি সারি চালের বস্তা সাজানো ছিল দু’টি লরিতে। পুলিশ প্রয়োজনীয় নথি দেখতে চাইলে অসঙ্গতি পাওয়া যায় ট্রাকচালকদের উত্তরে। এর পরেই রেশনের চাল পাচারের অভিযোগে ট্রাকচালক সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল ইসলামপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবারই আদালতে হাজির করানো হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর টোল গেটে নাকা চেকিং করে ইসলামপুর থানার পুলিশ। সেই সময় দু’টি চালের বস্তা ভর্তি লরি ডোমকল থেকে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ লরিচালকদের দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁদের কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। গাড়ির চালক-সহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও দু’জনকে। এখনও অবধি এই ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ধৃত ব্যক্তিদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন চেয়ে লালবাগ আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রেশনের চাল অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। চালের বস্তাগুলি কোথাকার এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই চক্রের মূল মাথা কে তা-ও তদন্ত করে দেখছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।