আক্রান্ত ফারাকুল ইসলাম। —নিজস্ব চিত্র।
পৈতৃক জমি মাপজোক করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল এক অধ্যাপককে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধর খেল পুলিশও। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জঙ্গিপুর কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক ফারাকুল ইসলামের অভিযোগ, প্রসাদপুর-দাসপাড়া মোড় এলাকায় তাঁদের প্রায় সাড়ে ৯ বিঘা কৃষিজমির কিছু অংশ জোর করে দখলের চেষ্টা করছিল কিছু দুষ্কৃতী। রবিবার সকালে তিনি পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে পৈতৃক জমি মাপজোক করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই সময় স্থানীয় ‘জমি মাফিয়া’রা ৩০-৪০ জন দুষ্কৃতীকে দিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করায়। তিনি তৌসিফ আহমেদ, ইলিয়াস শেখ,কালু শেখ-সহ কয়েক জনের নাম নিয়ে অভিযোগ করেন। রঘুনাথগঞ্জ থানার কয়েক জন পুলিশকর্মী অধ্যাপককে রক্ষা করতে গেলে তাঁদের উপরেও চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত হন এক জন সাব-ইনস্পেক্টর। আহত হন তিন পুলিশকর্মীও।
ওই অধ্যাপক বলেন, ‘‘প্রসাদপুর দাসপাড়া মোড়ের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় আমার জমি কয়েক জন জমি মাফিয়া জোর করে দখল করে নিতে চাইছে। আমার জমির আশেপাশে ওই মাফিয়ারা প্রায় ৮০০-৯০০ বিঘা জমি স্থানীয় কৃষকদের ভয় দেখিয়ে এক প্রকার জোর করেই কিনে নিয়েছে। কিন্তু আমার জমিটি মাঝখান দিয়ে যাওয়ায় ওদের পক্ষে চওড়া রাস্তা তৈরি করতে অসুবিধা হচ্ছিল।’’ তিনি জানান, এ নিয়ে গত ২০ মে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপারকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। তার প্রেক্ষিতে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে জমি মাপজোক করতে যান। কিন্তু সেখানেও শুরু হয় গন্ডগোল।
এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করায় ফারাকুলকে সঙ্গে করে নিয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ জমি মাপাজোকের কাজ অসমাপ্ত রেখেই এলাকা ছাড়ে। বর্তমানে ফারাকুল জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত পুলিশকর্মীদেরও ওই হাসপাতালে চিকিৎসা হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’