— প্রতীকী চিত্র।
ভাইবোন প্রতিদিনের মতোই বাড়ির সামনে খেলা করছিল। খেলার ছলেই বাড়ির পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেয় চার বছরের শিশুটি। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় চার বছরের সৌম্যদীপ বিশ্বাস। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় ছয় বছরের মলিও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা সৌম্যদীপকে মৃত ঘোষণা করেন। দিদি মলি এখন স্থিতিশীল।
নদিয়া জেলার মুরুটিয়া থানার অন্তর্গত দিঘলকান্দি গ্রাম। বিশ্বাস পরিবারের দুই শিশু, চার বছরের সৌম্যদীপ এবং ছ’বছরের মলি রোজই বাড়ির সামনে খেলা করে। শুক্রবারও তেমনই দুই শিশু খেলছিল। খেলতে খেলতে বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শ করে সৌম্যদীপ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভাই সৌমদীপ বিদ্যুতের খুঁটিতে আটকে আছে দেখে দিদি মলি তাকে ছড়াতে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মলিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বাড়ির লোকজন দু’জনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক সৌমদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দিদি মলিকে প্রথমে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়, প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
মৃত শিশু দিঘলকান্দি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র ছিল। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেন। পরে করিমপুর থানার পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। মৃত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মৃত শিশুর মা উর্মিলা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার দুই ছেলে-মেয়ে আজ শেষ হয়ে যেত। খেলার ছলে এ ভাবে বুকের ছেলে হারিয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। যাদের জন্য এ সব হয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’’