বাসের সঙ্গে মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। ঘটনায় জখম হয়েছেন এক মহিলাও। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বেলডাঙার পেট্রলপাম্পের কাছে। জখম ওই মহিলাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতেরা হলেন মতিবুর রহমান (২৪) ও রবিউল ইসলাম (২৪)। বাড়ি বেলডাঙার কাপাসডাঙায়। দু’জনেই ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বহরমপুর থেকে কলকাতাগামী একটি সরকারি বাস রাস্তা খারাপ থাকায় জাতীয় সড়কের বাঁ দিকের রাস্তা ছেড়ে ডান দিক ধরে বেলডাঙার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় একটি ছোটগাড়ি আচমকা বাসটির সামনে চলে আসে। একই সময়ে মোটরবাইকে চেপে এক মহিলা-সহ ওই দুই যুবক বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। ছোটগাড়িটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি মোটরবাইকটিকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন সকলে। ঘটনাস্থলেই ওই দুই যুবক মারা যান। মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক করা হয় বাস ও চালককে।
সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে স্থানীয় বাসিন্দারা কেন সরকারি বাস রঙ রুটে চলছিল সেই প্রশ্ন তুলে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কেন বাসটি রঙ রুটে চলছিল?
বাসের চালক ও উপস্থিত মানুষের একাংশের দাবি, রাস্তার উল্টোদিক বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়ার দরুণ তা এড়িয়ে চলতেই বাসটি উল্টোদিকে চলছিল। পাশের মারকাজ মসজিদ কমিটির সম্পাদক আরফাত শেখ বলেন, ‘‘সম্প্রতি মসজিদের সামনে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখানে দুর্ঘটনা খুব ঘটে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব যাতে যান নিয়ন্ত্রণ করতে ডিভাইডারের ব্যবস্থা করা হয়।’’
বেলডাঙা থানার ওসি মৃণাল সিংহ জানান, ‘‘বাসটি কেন উল্টোদিকে চলছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তার সঙ্গে তিনি এও জানান, টানা কয়েক মাস ধরে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো সত্ত্বেও সকলে হেলমেট ব্যবহার করছেন না। এ দিন মোটরবাইকের তিন জনের কেউ হেলমেট পরেননি। হেলমেট পরলে হয় তো দু’জন বেঁচে যেতেন। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই ডিভাইডার রয়েছে। সেখানে পুলিশ পোস্টিংও থাকে। গাড়ি চালকেরা সচেতন হলে তবেই দুর্ঘটনা কমবে। তা ছাড়া নয়।’’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে বেলডাঙার পশুহাটের যানজটের সময় মারকাজ মসজিদ পাড়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী একাংশের মতে, যানজটের সময় রাস্তা পার হতে গিয়েই গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।