—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গঙ্গার ঘাটে পড়ে আছে পোশাক। কিন্তু জলে কিংবা আশপাশে খোঁজ করেও দীর্ঘ ক্ষণ তাদের পাওয়া যায়নি। এক জনের খোঁজ পাওয়া যায়, তিনি দুই শিশুকে গঙ্গায় স্নান করতে দেখেছিলেন। কিন্তু পরে তারা উঠেছে কি না, দেখেননি তিনি। কোথাও দুই শিশুকে দেখতে না পেয়ে গঙ্গার পারে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার। তাদের আশঙ্কা, স্নান করতে নেমে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে দুই শিশু। ওই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জাল ফেলে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে খোঁজ চালাচ্ছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত আট বছরের দুই ছাত্রের মধ্যে কারও খোঁজ মেলেনি। রাতভর গঙ্গার ধারে অপেক্ষার পর সকালেও ঠায় বসে আছেন দুই শিশুর অভিভাবকেরা। এখন তল্লাশি চালাতে আনা হচ্ছে দুই ডুবুরিকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভা ছয়ঘড়িয়া এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাব্বির শেখ এবং এনায়েত শেখ নামে দুই বালক গঙ্গার ধারে খেলছিল। পরে ঘাটে পোশাক খুলে সাঁতারে নামে দু’জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, উল্টো স্রোতের টানে ভেসে গিয়েছে দু’জন। তাদের চেষ্টা করেও উদ্ধার করা যায়নি। সাবির এবং এনায়েত দু’জনেই তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া।
দুই শিশুকে উদ্ধারের জন্য স্পিড বোট-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ৬ সদস্য আসেন। মৎস্যজীবীরাও জাল নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। বিপর্যয় মোকাবিলার দলের সুবিনয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘গঙ্গার ওই ঘাটে ব্যাপক চোরাস্রোত রয়েছে। তল্লাশিতে ওদের উদ্ধার করা বেশ কঠিন। তবু আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে শিশু দু’টিকে উদ্ধার করার।’’ শিশু দু’টির মধ্যে এক জনের পরিবারের সদস্য রেহেনা বিবি বলেন, ‘‘দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে খেলে আসছি বলে বেরিয়েছে। ভাবতেই পারিনি ওরা গঙ্গায় নেমে পড়বে!’’ কাঁদতে কাঁদতে রেহেনা বলেন, ‘‘আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।’’