উদ্ধার হওয়া তিন তক্ষক। —নিজস্ব চিত্র।
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের তিনটি বিরল প্রজাতির তক্ষক নদিয়ার সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বাংলাদেশে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তদের পাকড়াও করল পুলিশ। পাচারে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তক্ষক তিনটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে তারা খবর পায় একটি চারচাকা গাড়ি করে তিনটি বিরল প্রজাতির তক্ষক পাচারের চেষ্টা চলছে। তার পরেই নদিয়ার চাপড়া থানার পুলিশ কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে তল্লাশি শুরু করে। চাপড়ার এলেমনগর এলাকায় একটি চারচাকার গাড়ি থেকে তিনটি তক্ষককে উদ্ধার করা হয়। পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরফান শেখ এবং আমানুর শেখক নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে ওই তক্ষকগুলির মোট মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশ হয়ে সেগুলিকে চিনে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল। দুই ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পাচারকারীদের পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হচ্ছে।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার মকওয়ান বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিনটি তক্ষককে উদ্ধার করা হয়েছে। সে গুলো বন দফতরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতে হাজির করানো হবে।’’