ঝড়ের দাপটে ফরাক্কায় উল্টে গেল ফল ভর্তি পিক-আপ ভ্যান। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ের তাণ্ডবে বৃহস্পতিবার রাতে বিপর্যস্ত হল ফরাক্কার দু’টি পঞ্চায়েতের অন্তত ১২টি গ্রাম। ভেঙে পড়ল মোবাইল টাওয়ার, কয়েকশো গাছপালা, একটি পিক-আপ ভ্যান উল্টে আহত হন চালক। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অর্জুনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
রাত প্রায় সওয়া ৮টা থেকে ৪০ মিনিট ধরে চলে ঝড়ের এই তাণ্ডব। সঙ্গে বৃষ্টি। এই সময় ঝড় বৃষ্টি হয়েছে আশপাশের সর্বত্রই। কিন্তু ঝড়ের দাপট সব চেয়ে বেশি ছিল ফরাক্কার মহেশপুর ও অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবনগর, তোফাপুর, জিগরি, বটতলা, দক্ষিণ মহাদেবনগর প্রভৃতি গ্রামগুলির উপরে। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে ঝড়ের দাপটে। শিবনগরে রাস্তার উপরে ভেঙে পড়ে একটি বড় গাছ। সেই সময় রাস্তা দিয়ে আসছিল ভুট্টা বোঝাই একটি পিক-আপ ভ্যান। আচমকা সামনে ভেঙে পড়া গাছ দেখে ব্রেক কষলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি।
জিগরির কাছে ভেঙে পড়ে একটি বেসরকারি সংস্থার মোবাইল টাওয়ার। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ভেঙে পড়ায় বিপর্যস্ত হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। বিদ্যুৎ আসে শুক্রবার দুপুরে। এই এলাকায় ফসল বলতে সেভাবে কিছু না থাকলেও বহু আম লিচুর বাগান রয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তার ।
এক বাগান মালিক বিশ্বজিৎ দাস বলছেন, “বেশ কয়েক দিন ধরেই ছোটখাট ঝড় বৃষ্টি চলছিল। এমনিতেই এ বারে আমের ফলন কম। লিচুর ফলন ছিল গত বছরের চেয়ে ভাল। কিন্তু এ বছরের মধ্যে বৃহস্পতিবারের ঝড়েই সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৬০ ভাগ আম লিচুই ঝরে গিয়েছে এ দিন।”
উদ্যান পালন দফতরের ফরাক্কার ক্ষেত্র পরামর্শদাতা ( ফিল্ড কনসালটেন্ট) ললিতমোহন দাস বলেন, “ঝড়ের তাণ্ডবে আম, লিচুর ক্ষতি হলেও তার পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।” বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী বলছেন, “ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি দেখে সেরকম হলে নিশ্চয় সরকারি ভাবে সাহায্য করা হবে।”