প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
একটি পিকআপ ভ্যানকে থামিয়ে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। চালকের বক্তব্যে অসঙ্গতি, সন্দেহ হতেই গাড়ি ছুটিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ওই চালক। ধাওয়া করে সেই গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে পুলিশের। পিকআপ ভ্যানের ডালা খুলে তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায় ফাঁকা কয়েকটি কাগজের বাক্স এবং ট্রে ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু ওই ওই বাক্সগুলো সরাতেই পাটাতনের একটা অংশে নতুন কাঠ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তার পর পাটাতনটি খুলতেই দেখা গেল সারি সারি সাজানো প্যাকেট। সেখান থেকে মিলল ১১২.৫ কেজি গাঁজা। বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই মাদকের প্যাকেট। আটক করা হয় গাড়িচালককে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে বুধবার বিশেষ এনডিপিএস আদালতে পেশ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দৌলতাবাদ থানার পুলিশ এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’ (এসওজি) দৌলতাবাদের মহারাজপুর মোড়ে তল্লাশি শুরু করে। একটি পিকআপ ভ্যানে গাঁজা পাচারের নিশ্চিত খবর ছিল পুলিশের কাছে। তারা আগে থেকেই সতর্ক ছিল। মঙ্গলবার রাত্রি ৮টা নাগাদ পিকআপ ভ্যানটি বহরমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়কের মহারাজপুর মোড়ের কাছে পুলিশ কর্মীদের দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ। ধাওয়া করে ধরা হয় গাড়িটি। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাঁজা পাচারের এই কৌশল ভেস্তে দেয় তারা। গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ওড়িশা থেকে ডোমকলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গাঁজা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাঁজা পাচার চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) তমাল বিশ্বাস বলেন, ‘‘সূত্র মারফত দৌলতাবাদ থানা এবং এসওজির যৌথ অভিযানে ১১২.৫ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে।’’