Accident

dead: ১০ দিনে ৫টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১১ জনের

পুলিশের দাবি, ভোরের দিকে যানবাহনের গতি বেশি থাকায় দৈনিক ভোর পাঁচটা থেকে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে নামানো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২১ ০৬:৪৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কোথাও রাস্তা খারাপ, কোথাও বা রাস্তা সরু, কোথাও বা রাস্তায় যানবাহনের নিয়ম ভাঙার খেলা চলছে। যার নিট ফল, গত ১০ দিনে মুর্শিদাবাদে ৫ টি দুর্ঘটনায় ১১ জন পথচারীর মৃত্যু। ঘটনায় চিন্তা বাড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের।

Advertisement

তবে পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশ বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে। দুর্ঘটনার পরে পুলিশের বড় কর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় সড়ক বা পূর্ত দফতরের কর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আলোর প্রয়োজন থাকলে আলো লাগানোর কথা বলা হচ্ছে, সার্ভিস রোডের প্রয়োজন থাকলে সার্ভিস রোড কিংবা রাস্তা সংস্কার, গার্ড রেল, হাম্প দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

পুলিশের দাবি, ভোরের দিকে যানবাহনের গতি বেশি থাকায় দৈনিক ভোর পাঁচটা থেকে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে নামানো হচ্ছে। এতো সবের পরেও দুর্ঘটনা কমছে না কেন? মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যানবাহনের গতি কমাতে ভোর পাঁচটা থেকে রাস্তায় পুলিশ পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা সংস্কার বা রাস্তার অন্য কাজের প্রয়োজন থাকলে পূর্ত দফতর বা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী আগামীতে দুর্ঘটনা আরও কমাতে পারব।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেট ছিল না বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে রেজিনগর, বেলডাঙা ও বহরমপুর থানা এলাকা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ এখনও ‘চার লেন’ হয়নি। এমনিতেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি, সেই সঙ্গে ‘দুই লেনের’ রাস্তা হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তার উপরে ভোরের দিকে ‘দুই লেনের’ রাস্তাতেও ‘চার লেনের’ রাস্তার মতো দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে। আর সেই গতির বলি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একই সঙ্গে আগের থেকে কমলেও মোটরবাইকে তিনজন চাপা, হেলমেট ছাড়াই বাইক চালানোর সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। যার জেরে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
তবে জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, আগের থেকে মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেট পরার সংখ্যা বেড়েছে। তবে যাঁরা হেলমেট পরছেন না তাঁদের সচেতন করার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপও করা হচ্ছে। এছাড়া দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় যানবাহনের গতি কমাতে জাতীয় সড়কের নিয়মের বাইরে থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় হাম্প(স্প্রিড ব্রেকার) লাগানোর সুপারিশ করা হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement