100 days Work

একশো দিনের কাজের চ্যালেঞ্জ

দ্বিমুখী করোনা-যুদ্ধে ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষা যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৭:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

লকডাউনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে একশো দিনের কাজ। নিরাপত্তার প্রাথমিক শর্তগুলি বজায় রেখে তা পরিচালনা করাই এখন জেলা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

দ্বিমুখী করোনা-যুদ্ধে ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষা যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া। ইতিমধ্যে তিন সপ্তাহের বন্দিদশায় গাঁয়ে-গঞ্জে গরিব মানুষ এমনিই কাহিল। তার উপরে লকডাউনের সময়সীমা আরও বেড়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ২০ এপ্রিল থেকে মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের (যার চালু নাম একশো দিনের কাজের প্রকল্প) কাজে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। বার্নিয়ার শ্রীকৃষ্ণপুরের মতো স্পর্শকাতর এলাকা ছাড়া সর্বত্রই এই প্রকল্পে কাজ দিতে পারবে জেলা প্রশাসন।

বুধবারই একশো দিনের কাজ শুরু করার নির্দেশ এসে পৌঁছেছে নদিয়ায়। সেচ ও জল সংরক্ষণের প্রকল্পে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এ দিনই সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। সেখানে ঠিক হয়, পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু ব্লক স্তরের আধিকারিকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কারণ একশো দিনের কাজে এক সঙ্গে অনেক শ্রমিক থাকবেন। সেখানে কী ভাবে পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব, সেটাই তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না। গত অর্থবর্ষে জেলায় একশো দিনের কাজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১ কোটি ১৭ লক্ষ ২৩ হাজার। তার মধ্যে কাজ হয়েছিল মোটে ৭৩ লক্ষ ৯ হাজারের মতো, অর্থাৎ প্রায় ৬২ শতাংশ। যাঁরা কাজ চেয়েছিলেন, তাঁদের গড়ে প্রায় ৪৪ দিন করে কাজ দিতে পেরেছিল জেলা প্রশাসন। শ্রমদিবস রাতারাতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে গাছ লাগাতে গিয়ে বিতর্কের মধ্যেও পড়তে হয়েছিল প্রশাসনের কর্তাদের।

Advertisement

এ বার একেবারে প্রাথমিক ভাবে শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭২ লক্ষ। কিন্তু করোনার দাপটে প্রথমেই মুখ থুবড়ে পড়ার মতো অবস্থা। জেলার নির্মাণ সহায়কদের একটা অংশের দাবি, এই পরিস্থিতিতে কাজ করা বেশ ঝুঁকির। পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষা করতে না পারলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতে হিতে বিপরীত হবে। তবে এখন কাজের অনেক সুযোগ। জেলার সেচ দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুরজিৎ ধরও বলছেন, “সেচের ক্ষেত্রে কাজের অনেকটাই সুযোগ আছে। জগৎখালি বাঁধ-সহ একাধিক বাঁধে মাটি ফেলে সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সুযোগ আছে ছোট ছোট খাল-বিল ও পুকুর সংস্কারের।” জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “একশো দিনের কাজ শুরুর নির্দেশিকা এসেছে। তবে আমরা আগে দেখব কোন কোন ক্ষেত্রে পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষা করে কাজ করা সম্ভব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement