—প্রতীকী চিত্র।
পড়া শেষ করে বেড়ার ঘরে একাই ঘুমোচ্ছিলেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তরুণী। হঠাৎ দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বাড়ি। নিমিষের মধ্যে ঝলসে যায় ওই নাবালিকা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। পরে পুলিশি তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া চলার পর আদালত তিন জন অভিযুক্তকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হয় এক জনকে। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে আর এক জনের।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে , মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা আদালতের বিচারক সঞ্জয়রঞ্জন পাল তিনজনের দশ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে। সাজাপ্রাপ্তদের নাম শামিম খান, মইনুল মণ্ডল ও রফিক শেখ।
সরকারি আইনজীবী অমৃতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘২০০৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থানারপাড়া থানার দোগাছি নতুনপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। ওই নাবালিকার বাবা-মা ঘরের বাইরে ঘুমোচ্ছিলেন। মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। সে ঘরে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়ে। এর পর রাত ১টা নাগাদ অভিযুক্তেরা ওই বাড়িতে যায়। জানালা দিয়ে পেট্রল ও কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মেয়েটির চিৎকারে সকলে ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। মৃতার বাবা ছ’জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর মধ্যে মোতালেব শেখ নামে একজন বিচার চলাকালীন মারা যায়। নজরুল মণ্ডল ও মুর্তাজ মণ্ডল বেকসুর খালাস পায়।’’