J P Nadda

লক্ষ্য অনুব্রতর গড়, অমিতের পর বীরভূমে নড্ডা

ডিসেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বোলপুর শহরে একটি রোড-শো করে গিয়েছেন। তার ঠিক ৮ দিন পরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা মিছিল করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ২০:১৭
Share:

জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলায় এসে বীরভূম যাবেন নড্ডা।

অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে অমিত শাহের পর আসবেন নড্ডা। বিজেপি সূত্র খবর, আগামী ৯-১০ জানুয়ারি দু’দিনের সফরে বাংলায় আসছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। যদিও শনিবার কেশিয়াড়িতে এক কর্মসূচিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, নড্ডাজির সফরসূচি সময় মতো জানানো হবে।

Advertisement

নড্ডার সফরের প্রস্তুতির আলোচনার জন্য বোলপুর থেকে দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরাকে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দলের তলব পেয়েই আমি দিল্লি এসেছি। এর বেশি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’’ এই সফরে বীরভুমের কোথায় যাবেন নড্ডা, তা অবশ্য জানানো হয়নি। সেখানে একটি সভার পাশাপাশি একটি বড় রোড-শো করার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।

ডিসেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বোলপুর শহরে একটি রোড-শো করে গিয়েছেন। তার ঠিক ৮ দিন পরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা মিছিল করেন। কিন্তু শনিবার জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলায় এসে বীরভূম যাবেন নড্ডা। ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার সময় নড্ডা-সহ বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। ‘হামলা’র মুখে যে তাঁরা দমে যাননি, সেই বার্তা দিতেই ফের বাংলা সফরে আসছেন নড্ডা। কোনও আস্ফালনই যে বিজেপি-র বাংলা দখলের লক্ষ্যে অন্তরায় হবে না, সে বিষয়টি তুলে ধরাই লক্ষ্য পদ্ম শিবিরের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘মনুবাদী বিজেপি, নীতিহীন তৃণমূলে’ ফারাক দেখছেন না বিমান

জেপি নড্ডার এই সফর প্রসঙ্গে আরও বেশকিছু সমীকরণ রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। বোলপুরের পর বীরভুমের কোথায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করে ফায়দা তোলা যায়, সেই অঙ্ক কষেই নড্ডার সূচি সাজানো হবে। বীরভুমে নড্ডার কর্মসূচি প্রসঙ্গে আরও একটি ব্যাখ্যা রয়েছে বিজেপি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আস্ফালনের মোকাবিলা যে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপিই করতে পারে তা তুলে ধরাই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। বিধানসভা ভোটে কোনও দূর্গই যে আর অক্ষত থাকবে না, অনুব্রত গড়ে এসেই সেই বার্তাই দেবেন বিজেপি সভাপিত। তাছাড়া, অমিত শাহের রালির জবাব হিসেবে তৃণমূল নেত্রী মিছিল করেছেন। আবার জেপি নড্ডার রালি ও সভা হলে তার জবাব দেওয়ার মতো নেতা তৃণমূলের নেই। তৃণমূলের সেই দুর্বলতাকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: কৈলাসের টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অপমান’, বিলম্বিত প্রতিবাদ কাকলি, শশী-নুসরতদের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement