ইউক্রেন থেকে বাঙালিদের দেশে ফেরানো প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন বলেন, ‘‘এটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনার কোনও কারণ নেই। যে-ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ ও জৈনদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন, একই ভাবে ইউক্রেন থেকেও দেশের মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন।’’
ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার প্রবল আক্রমণে ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলা তথা ভারতের বহু ছাত্রছাত্রী এবং অন্যেরা এখন মহাসঙ্কটে। আকাশপথ বন্ধ। তাই সড়কপথই তাঁদের ভরসা। কিন্তু সেই পথে বিপদ পদে পদে। প্রবল বোমাবর্ষণের মধ্যে এখন তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন বাঙ্কারে, মেট্রো স্টেশনে বা বহুতলের বেসমেন্টে। তাঁদের প্রত্যেককে নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে দেশের সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার কত জন বাসিন্দা যুদ্ধত্রস্ত ইউক্রেনে আছেন, জেলাশাসকদের সেই তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ নবান্ন। খোলা হয়েছে ১২ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমও।
নবান্নের নির্দেশ পেয়ে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন তাদের এলাকার কত জন ছাত্রছাত্রী ইউক্রেনে আটকে আছেন, সেই তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরিবার নিজে থেকেও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য দিতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে। অনেক প্রশাসনিক কর্তাদের জানান, দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারের দফতরকে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যে-সব তথ্য আসবে, তা পাঠানো হতে পারে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। এই পদ্ধতিতে কেউ বাদ পড়বেন না বলেই আশা করছে প্রশাসন। একই সঙ্গে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে নবান্নে। তার দায়িত্বে থাকছেন সিনিয়র আইএএস এবং ডব্লিউবিসিএস অফিসারেরা। ২২১৪-৩৫২৬ এবং ১০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানানো যাবে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নবান্নের কন্ট্রোল রুম শতাধিক ফোন পেয়েছে বলে খবর।
তৃণমূল সাংসদ মালা রায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি দিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রী ও অন্যদের দ্রুত উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন। লিখেছেন, দেশের কয়েক হাজার মানুষ ইউক্রেনে রয়েছেন। চলতি পরিস্থিতিতে তাঁদের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। আকাশপথ বন্ধ থাকায় তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য বিকল্প পথের সন্ধান করা হোক।
ইউক্রেন থেকে বাঙালিদের দেশে ফেরানো প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন বলেন, ‘‘এটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনার কোনও কারণ নেই। যে-ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ ও জৈনদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন, একই ভাবে ইউক্রেন থেকেও দেশের মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন।’’