প্রতীকী ছবি।
করোনা উত্তরোত্তর দাপট বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজ্যে ভাইরাল জ্বরেও কাবু হয়ে পড়ছেন অনেকে। এই দুই দৌরাত্ম্যের মধ্যে আবার যদি মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পায়, তা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাই শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠকে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে নবান্ন। স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ, বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার পরে রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত বোতল, ডাবের খোলা, নালায় জমা জলে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। তাতে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে।
নবান্নের নির্দেশ, জল জমে থাকছে কি না, সে-দিকে নজর রাখতে হবে। কোথাও যাতে জল জমে না-থাকে, তার জন্য ভেক্টর কন্ট্রোল দলের অধীনে থাকা ‘ভিলেজ রিসোর্স পার্সনদের’ আরও বেশি করে তৎপর হতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্লিচিং পাউডার এবং অন্যান্য কীটনাশক রাসায়নিক ছড়াতে হবে নিয়মিত।
স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, হাওড়া উত্তর ২৪ পরগনাকে আলাদা ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনও এলাকায় ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার তথ্য পেলে তা খতিয়ে দেখতে হবে জেলাশাসকদের। নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এলাকায় যাতে জঞ্জাল জমে না-থাকে, সেই বিষয়ে পুরসভাগুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া নিয়ে প্রচার করতে হবে পুরকর্মীদেরও। স্কুল-কলেজের ধারেকাছে যাতে কোনও রকম জল জমে না-থাকে, সে-দিকে শিক্ষা দফতরকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও এলাকায় ডেঙ্গির খবর পেলে, আশপাশের এলাকায় জ্বর হলে সংশ্লিষ্টদের রক্তপরীক্ষা করানোর বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের মতে, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে শুধু স্বাস্থ্য দফতর নয়, সব দফতরকেই কাজ করতে হবে যৌথ ভাবে।