প্রতীকী ছবি।
প্রস্তাব এসেছিল ন’মাস আগেই। কিন্তু তখন সায় দেয়নি নবান্ন। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরে এ বার রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগেও সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের অনুমোদন দিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। লোকের মুখে মুখে তাঁরা হয়ে উঠছেন ‘সিভিক গোয়েন্দা’। ১৮ জুন স্বরাষ্ট্র দফতরের আদেশনামা অনুসারে ৫২৮৫ জন সিভিক গোয়েন্দা এখন নবান্নের জন্য খবর সংগ্রহে নেমে পড়ছেন। নতুন নিয়োগ নয়, থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্য থেকে বাছাই করে গোয়েন্দা বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩১৭, বারাসত-বসিরহাটে ৩০০, বাঁকুড়ায় ২৮৫, পুরুলিয়ায় ২৫৫, হাওড়া গ্রামীণে ২৩৬, মুর্শিদাবাদে ২৫০, দার্জিলিঙে ২২০, পূর্ব বর্ধমান ২১৫ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২২৩ জন সিভিক গোয়েন্দা কাজ শুরু করছেন। পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সিভিক গোয়েন্দা দেওয়া হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুরে (৩১৮ জন)। বিধাননগরে ২৫০ এবং ব্যারাকপুরে ১৮৮ জন। ‘‘লোকসভা ভোটে যেখানে বিজেপি জিতেছে, সেখানকার খবরেই জোর দিতে হবে। সে-ভাবেই লোক বাড়ানো হয়েছে,’’ বলেন স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা।
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেন। ট্র্যাফিক, থানা, ফাঁড়ি এবং বিভিন্ন অফিসে তাঁদের রাখা হয়েছিল। এক লক্ষ ৩৭৭ জনকে কাজ দেওয়া হয় থানা ও পুলিশ-জেলায়। ছ’টি পুলিশ কমিশনারেটে ১৫৪৩৮, রেল পুলিশের চার ডিভিশনে ৪০০০ জনকে নিয়োগ করা হয়। এক লক্ষ ১৯ হাজার ৮১৫ জনকে এই ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে। এখন ৫২৮৫ জনকে আইবি-তে দেওয়া হল।