মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বহু মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি আদালতে। যে কারণে ঝুলে রয়েছে জয়ী প্রার্থীদের ‘ভাগ্য’। তার মধ্যেই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে বিরোধীদের মুলতুবি প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৬ অগস্টের মধ্যে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা হবে।
নিয়ম হল, ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকা হাতে পাওয়ার পরে সেটির গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার পরে ২১ দিনের মধ্যেই সভা করা এবং বোর্ড গঠন করতে হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তিন স্তরেই সেই নিয়ম মেনে আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে বোর্ড গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে সমস্ত জেলাশাসক এবং জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন অফিসারকে।
এ বার পঞ্চায়েত ভোটে এবং গণনা পর্বে হিংসা ও অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির আইনজীবী-নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। গত ১২ জুলাই সেই মামলা শুনতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোটের ‘চূড়ান্ত’ ফল ঘোষণার পরেও প্রার্থীদের জয়ের বিষয়টি মামলার রায়ের উপরেই নির্ভর করবে। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। যার জেরে তখন থেকেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল প্রশাসনের অন্দরে।
পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও কেন বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তা নিয়ে প্রশাসনের একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, মামলা আদালতে বিচারাধীন হলেও, উচ্চ আদালত বোর্ড গঠনে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই কারণেই নিয়ম মেনে বোর্ড গঠনে কার্যত কোনও সমস্যা নেই সরকারের।