ফাইল চিত্র।
আর্থিক পরিস্থিতি ভাল নয়। খরচে রাশ টানার প্রক্রিয়া চলছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ ও নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করার ক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখতে বলল রাজ্যের অর্থ দফতর। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব দফতরকে আগামী আর্থিক বছরের বাজেট-প্রস্তাব পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছে নবান্নের বাজেট বিভাগ। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের সংশোধিত বাজেট-প্রস্তাবও জমা দিতে হবে।
নবান্নের খবর, পরের অর্থবর্ষের বাজেট জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে পেশ হবে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে এটিই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ফলে প্রকল্প ঘোষণা থেকে ব্যয়-মঞ্জুরির ক্ষেত্রে ৫২টি দফতরই আগ্রাসী প্রস্তাব দিতে পারে। ‘ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট’ পেশ হলেও ভোটের আগে নতুন প্রকল্প চালু করার সুযোগ থাকবে না। ফলে আগামী বাজেটে যা ঘোষণা করা হবে, তা দিয়েই পরের নির্বাচনে ঝাঁপাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।
কিন্তু রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। গত অর্থবর্ষে জিএসটি এবং কেন্দ্রীয় করের মোটা টাকা আসায় সুবিধা হয়েছিল। এ বার ঝিমিয়ে থাকা আর্থিক পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে কর আদায়ের চিত্র ভাল নয়। তাই খরচের বোঝা বেশি বাড়াতে রাজি নয় নবান্ন। তার উপরে নতুন বেতন কমিশন চালু হচ্ছে জানুয়ারিতে। তার জন্য বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। ঋণশোধে গুনতে হবে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি। তার মধ্যেই চালিয়ে যেতে হবে কন্যাশ্রী, সাইকেল বিলির সবুজ সাথী, সংখ্যালঘু বৃত্তি-সহ অজস্র উন্নয়ন প্রকল্প।
অর্থকর্তাদের বক্তব্য, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের সংশোধিত বাজেট-প্রস্তাবের ক্ষেত্রে যেটুকু খরচ না-করলেই নয়, অতিরিক্ত বরাদ্দ হিসেবে সেটুকুই চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দফতরকে সতর্ক হতে বলছে নবান্ন। সংশোধিত বাজেটের উপরে যুক্তিসঙ্গত বৃদ্ধি ২০২০-২১ সালের বাজেটে বরাদ্দ করা হবে। ‘‘প্রয়োজনীয় কোনও খরচই বাদ দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় খরচে এ বার রাশ টানতেই হবে,’’ বলেন অর্থ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা।