নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের পর থেকে হওয়া কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠকে ভূমি দফতরের কাজকর্ম এবং সরকারি জমির দখল নিয়েও সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ভূমি-সহ কয়েকটি দফতরের সচিব পদে রদবদল করল নবান্ন। এ দিন মমতার নির্দেশ, আধিকারিকদের কাজের স্বচ্ছতা খতিয়ে দেখবে বিশেষ কমিটি। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ এবং আধিকারিকদের একাংশ টাকা তুলছে। তার ভাগ দেওয়া হচ্ছে বিজেপিকেও।
লোকসভা ভোটের সময় অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদে বদলি করা হয়েছিল ভূমি দফতরের সচিব স্মারকী মহাপাত্রকে। তাঁকে ভূমি দফতরে না ফিরিয়ে জনশিক্ষা প্রসার এবং পাঠাগার সচিব করা হয়েছে। ভূমি দফতরের সচিব হয়েছেন বিবেক কুমার। তিনি প্রাণিসম্পদ দফতরও সামলাবেন। বিবেকের হাতে থাকা বন দফতরের সচিব হয়েছেন মনোজ আগরওয়াল। তিনি দমকল সচিবের ভারও সামলাবেন। তবে ভোটের সময় অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে বদলি হওয়া বিনোদ কুমার পুর সচিব পদে ফিরেছেন।
এ দিন পুরসভাগুলিকে নিয়ে বৈঠকে মমতা বলেন, “একতরফা জমি দখল হবে, কাজ করবে না, এটা হতে দেওয়া যাবে না। কলকাতা, নিউ টাউন, হাওড়া, সল্টলেক, শিলিগুড়িতেও তদন্ত হবে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় জমি মাফিয়া দল তৈরি হয়েছে। ভূমি দফতর এবং পুলিশের একাংশ যুক্ত আছে। তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছি।” এর পরেই তিনি ভূমি দফতরের নতুন সচিবের উদ্দেশে বলেন, “বিবেক, তোমাকে ভূমি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক শতাংশ ভাল পাবে। বাকিরা সব শেষ করে দিচ্ছে। জমির তালিকা পুরো চেয়ে নিয়ে অফিসারদের রদবদল করো।” তাঁর সংযোজন, “স্মারকী এবং মনোজ পন্থকে (আগের ভূমি সচিব) অনেক বার বলেছি। আজ থেকে তোমাকে ক্লিন করার দায়িত্ব দেওয়া হল। কারও কথা শুনবে না। প্রয়োজনে আমারও নয়।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, অফিসারদের বদলির আগে কাজের মূল্যায়ন হবে। ভিজিল্যান্স, দুর্নীতিদমন শাখা, সিআইডি, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এবং নিরাপত্তা অধিকর্তাকে নিয়ে তৈরি কমিটি স্বচ্ছতা খতিয়ে দেখবে। তাঁর কথায়, “অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি। পারফরম্যান্স রিভিউ হবে। আগামী দিনে অ্যাকশন (পদক্ষেপ) হবে।”